প্রবাসী স্বামীর দায়ের করা আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় স্ত্রীর পরোকিয়া প্রেমিক গ্রেফতার
প্রবাসী স্বামীর দায়ের করা টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় স্ত্রীর পরোকিয়া প্রেমিক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরিষাডাঙ্গার কথিত মহুরী বেল্টু গ্রেফতার। ২২ জুলাই বুধবার রাতে আলমডাঙ্গা থানার এস আই আমিনুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে বেল্টুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
জানাগেছে, উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হক মেম্বারের ছেলে প্রবাসী শামিম রেজার সাথে প্রায় ৭ বছর পূর্বে একই উপজেলার মুন্সিগঞ্জ জেহালা বাবুপাড়ার মৃত ইমরান হোসেনের মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন রিক্তা(২৮)“র বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর শামিম তার স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে মালায়েশিয়ায় টাকা উপার্জনের উদ্দেশ্যে ফিরে যায়।
বিদেশ গিয়ে স্ত্রী রিক্তার খরচ ও টাকা জমানোর জন্য স্ত্রীর নামের মুন্সিগঞ্জ সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠাতেন। ৭ বছর বিদেশ থাকাকালিন মাঝে ২ বার শামিম বাড়ি এসে ঘুরে যায়। ৭ বছরে জমি ক্রয় করে বাড়ি করা ও স্ত্রীর খরচের জন্য শামিম প্রায় ১৪/১৫ লাখ টাকা রিক্তার নামে পাঠায়। এরই মধ্যে রিক্তার পেশকারের চাকুরীর জন্য কথিত মহুরী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরিষাডাঙ্গার মৃত শফিউদ্দিনের ছেলে বেল্টুর সাথে যোগাযোগ করে।
একপর্যায়ে রিক্তার বেল্টুর সাথে পরোকিয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। শামিম গত ২০১৯ সালের আগষ্ট মাসে বাড়ি চলে আসে। শামিম বাড়ি আসার পর রিক্তা ও বেল্টু কৌশলে চাকুরীর জন্য আবারও প্রায় ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকুরীর জন্য টাকা নেওয়ার কয়েক মাস পর চাকুরী না হলে শামিম তার বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাই। টাকার হিসাব না দিয়ে বাড়ির সবাইর চোখ ফাকি দিয়ে বেল্টুর সাথে যোগাযোগ করে রিক্তার তার ব্যবহারের সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়।
শামিম কয়েকবার তার স্ত্রীকে আনতে গেলে রিক্তা তার সংসার করবে না এবং টাকা পয়সার হিসাব দিবে বলে জানিয়ে দেয়। পরে শামিম বাধ্য হয়ে বেলগাছী ও জেহালা ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করে। সেখানে কোন সুরাহা না হওয়ায় পরে আলমডাঙ্গা থানায় টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ২ নং আসামী হিসেবে আলমডাঙ্গা থানার এস আই আমিনুল ইসলাম বেল্টুকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। সংশ্লিষ্ট মামলায় ২৩ জুলাই আদালতে প্রেরন করেছে।