আলমডাঙ্গায় মাদক সেবন নিয়ে দ্বন্দ্বে ধারালো অস্ত্রের কুপিয়ে আরেক মাদক সেবককে হত্যা
আলমডাঙ্গায় মাদক সেবন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক মাদক সেবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আরেক মাদক সেবককে হত্যা করেছে। সোমবার ২২ জুলাই রাতে উপজেলার বকসিপুর গ্রামে গাংপাড়ায় কালাচাঁদ আলীর বাড়ির উঠানে এ ঘটনা ঘটেছে।
মাদক সেবকের হাতে নিহত ইমরান হোসেন (২৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার বকসিপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রী মিনারুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। ইমরানের ২ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহত ইমরানের বাবা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অবস্ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া ঘটনাস্থল পরির্শন করেন।
এঘটনার পর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ইমরানের বন্ধু মাদক সেবক ইব্রাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
গ্রামসুত্রে জানাগেছে, মিনারুলের ছেলে ইমরান (২৫), মোখছার আলীর ছেলে ঝন্টু (৪৫) ও কবীর আলীর ছেলে ইব্রাহিম(২৫) একসাথে মাদক সেবন করে। ঘটনার দিন রাতে তারা বাড়ির পিছনে বাগানে মাদক সেবন করতে যায়। একপর্যায়ে ঝন্টু ধারালো অস্ত্র নিয়ে ইমরানকে তাড়া করলে সে দৌড়ে গ্রামের মৃত জোয়াদ আলীর ছেলে কালা চাঁদের ঘরে উঠতে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইমরানের বুকের বামপাশে কোপ মারে। ঘটনাস্থল থেকে ইমরানকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করে।
নিহত ইমরানের পিতা মিনারুল জানায়, তার ছেলেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় ইব্রাহিম। ইমরানের সাথে একই গ্রামের মোখছার আলীর ছেলে ঝন্টু(৪৫) ও কবীর আলীর ছেলে ইব্রাহিম(২৫) একসাথে মাদক সেবন করে। ঘটনার দিন রাতে ইমরান, ইব্রাহিম ও ঝন্টুর মধ্যে কোন কিছু নিয়ে দ্ব›দ্ব সৃষ্টি হয়। সেই দ্বন্দ্বের জেরে ঝন্টু তার ছেলে ইমরানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুুপিয়ে হত্যা করে। এ হত্যার সাথে ইব্রাহিম জড়িত রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সজিব আহমেদ জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান। নিহত যুবকের বুকের বামপাশে হার্টের উপরে ধারালো অস্ত্র আঘাত করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ইউপি সদস্য মাসুদা খাতুন জানান, ইমরান , ঝন্টু ও ইব্রাহিম এক সাথে মাদক সেবন করে। ঘটনার দিন রাতে কোন কিছু নিয়ে তাদের মধ্যে দ্ব›দ্ব হয়। সেই কারণে ঝন্টু ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইমরানকে কুপিয়ে জখম করে। তাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত যুবক ইমরান পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মুল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইব্রাহিম নামের এক যুবককে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহত ইমরানের মরাদেহ ময়না তদন্ত শেষে নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।