আলমডাঙ্গায় ১ সন্তানের জননী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
আলমডাঙ্গা বকসিপুর গ্রামের ১ সন্তানের জননী স্বামী উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ২১ জুলাই দুপুরে বাড়ির সবার অগোচড়ে নিজঘরের উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
জানাগেছে, উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে রত্না খাতুন(২২)র সাথে ৪ বছর আগে একই ইউনিয়নের বকসিপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে হৃদয় হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের ২ বছর পর তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহন করে। ছেলেকে নিয়ে তাদের সংসার জীবন ভালই চলছিল।
গত ২০ জুলাই রত্না খাতুনের কানের গহনা হারিয়ে যায়। গহনা হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামীর সাথে রাতে ঝগড়া শুরু হয়। পরেদিন ২১ জুলাই দুপুরে নিজ ঘরের আড়াই উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগালো অবস্থায় রত্নার মা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
মৃত ঘোষনার সাথে সাথে রত্নার স্বামী পক্ষের লোকজন লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। সঙ্গে থাকা রত্নার মা তাদের আত্মীয় স্বজনের নিকট সংবাদ দিয়ে নিয়ে আসে। বিকালে রত্নার পিতা মজিবর রহমান আলমডাঙ্গা থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। অপমৃত্যু মামলা পেয়ে এসআই আমিনুল ইসলাম লাশের সুরতাহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ চুয়াডাাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে