পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসা করলো আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসা করলো আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয় রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসা করা হয়। এ বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে এখন এলাকাবাসি।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌরসভাধীন বি-টিম মাঠ পাড়ায় একই মালিকের জমির কিছু অংশ প্রবাসি জাফর ইকবাল লাড্ডু ক্রয় করে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। একই মালিকের নিকট থেকে ওই সম্পত্তির অংশ বিশেষ ক্রয় করে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন মাসুদ রানা। তাদের উভয়ের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জাফর ইকবাল লাড্ডুর স্ত্রী রুবিনা পারভীন ও প্রতিবেশি মাসুদ রানার স্ত্রী নাজমুন নাহারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ কয়েক বচর ধরে এ বিরোধ চলে আসছিল। প্রশাসন, পৌরসভা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক করেও তাদের বিরোধ মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন। প্রতিনিয়ত তাদের ঝগড়া-মারামারি ও গালাগালিতে প্রতিবেশিরা অতিষ্ঠ হয়ের উঠেন। এরই এক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের প্রাজ্ঞ নির্দেশনায় গতকাল ২০ জুলাই সন্ধ্যায় তা সাফল্যের সাথে মীমাংসা করল আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
পুলিশ সুপারের সরাসরি তত্বাবধান ও দিক-নির্দেশনায় আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এস.আই শেখ রফিকুল ইসলাম বাদী-বিবাদীকে সালিশ মীমাংসায় উপস্থিত করেন। সালিশ মীমাংসায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, সেক্রেটারি ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন,এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিল আলী আজগর সাচ্চুসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। সালিশে দুই পরিবারের বিরোধীয় বিষয় শান্তিপূর্ণভাবে আপোষ মীমাংসা করা হয়।।