নারীসহ ৩ চিকিৎসকের উপর হামলাকারিকে দ্রুত গ্রেফতার ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিবাদসভা
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসকদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার ও স্বাস্থ কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের শতভাগ নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিবাদসভা ও প্রেসকনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ জুলাই হারদীস্থ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ওই প্রতিবাদ ও প্রেসকনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ওই প্রেসকনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডাক্তার মার্টিন হিরোক চৌধুরী।
প্রতিবাদসভা ও প্রেসকনফারেন্সে প্রধান অতিথি ডাক্তার মার্টিন হিরোক চৌধুরী বলেন, বর্তমানে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে দেশের সকল ডাক্তার, পুলিশ, সাংবাদিকসহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ের মানুষ ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা । তাদেরই একজন আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার আশরাফুন নাহার লীনা ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোর্তুজা আরেফিন। তাদেরকে যে যুবক লাঞ্চিত করেছে তাকে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। কেউ যদি মনে করেন ডাক্তাররা দুর্বল তাহলে ভুল করবেন। গ্রামে দায়িত্ব পালনের মত কঠিন ও দুরূহ দায়িত্ব আমরা পালন করে থাকি। সে জন্য আমাদের চিকিৎসকদের সর্বাগ্রে নিরাপত্তা দিতে হবে। এই হাসপাতালে যেসব ডাক্তাররা দ্বায়িত্ব পালন করছেন তাদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি আসামি গ্রেফতার না হয় তাহলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএ’র কেন্দ্রীয় সদস্য ডাক্তার আওলিয়ার রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মোর্তোজা আরেফিন, ডাক্তার শারমিন আক্তার, ডাক্তার রাগিব শাহরিয়ার, ডাক্তার মাশুক রহমান, ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডাক্তার নাজমুল হুসাইন, ডাক্তার সিলভিয়া পারভীন, ডাক্তার আনিকা বুশরা হাসান, উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার ওবাইদুল হক, কাজল মাহমুদ, এসআই আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রনঙ্গত, ১৬ জুলাই যাদবপুর গ্রামের আব্দুর রহিম নামে এক যু্বক তার অসুস্থ্য পিতাকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে নিজে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার আশরাফুন নাহার লীনাকে ব্যবস্থাপত্র লিখে দিতে বলেন। ডাক্তার লীনা রোগি না দেখে ব্যবস্থাপত্র লিখে দিতে অস্বীকার করায় আব্দুর রহিম তাকে লাঞ্চিত করে। এ সময় ওই যুবকেরর হাতে হাসপাতালো আরএমওসহ আরও এক নারী চিকিৎসক লাঞ্চিত হন। এ ঘটনায় রাতে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আসামি গ্রেফতার হয় ।