৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে ইমন ফার্মেসির রমরমা ব্যবসা \ ১৮ গুন বেশিতে ঔষুধ বিক্রয়

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
118
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

মেহেরপুর প্রতিনিধি \ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ও প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে মেহেরপুর জেলায় কিছুটা কোণঠাসা রয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ফলে মাদক সেবীরা দ্বিগুণ টাকা দিয়েও পাচ্ছে না কোন মাদকদ্রব্য। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মেহেরপুর শহরের কতিপয় অসাধু ফার্মেসির মালিক ও ওষুধ ব্যবসায়ীরা পেন্ট্রাডল, টাপেন্টা, ওমোরফোন, লেপেনট্রা সহ ইত্যাদি ব্যথানাশক ওষুধ বিক্রি করে যাচ্ছে।

আইন অনুযায়ী রেজিঃ চিকিৎসকের পরামর্শ বা অনুমতি পত্র ছাড়া কোন ঔষধ বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও এসব ওষুধ ব্যবসায়ীরা কোন নিয়ম নীতি বা আইনের তোয়াক্কাই করছে না। মাদক সেবীদের কাছে ইয়াবার পরিবর্তে এসব ট্যাবলেট অবাধে বিক্রি হচ্ছে ফার্মেসীগুলোতে। গাঁজা,হেরোইন,ইয়াবা,পেন্সিডিলসহ সর্বশেষ ওমরফোন, পেন্টাডল সহ টাপেন্টা ট্যাবলেট এখন মাদক হিসেবে মেহেরপুরের যুব সমাজ ও মাদক সেবনকারীদের কাছে বেশ পরিচিত।

আর এসব ওষুধ দিয়ে চলছে মাদক সেবীদের মাদক সেবনের কাজ। সরকার এ ওষুধটি উৎপাদন বন্ধ করলেও শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে এসব ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাদকসেবী জানাই মেহেরপুর শহরের কাথুলী বাসস্ট্যান্ড নামক এলাকার ইমন ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী বাবর আলী দীর্ঘদিন ধরেই এসব ওষুধ বিক্রি করছেন।

এইসব ব্যথানাশক প্রতিপিচ ওষুধের মূল্য ১৫ টাকা হলেও ফার্মেসি থেকে ২৫০/৩০০ টাকায় কিনে থাকেন মাদকসেবীরা। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কৌশল অবলম্বন করে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় পরিচিত যুকক মাদকসেবীদের কাছে এসব ঔষধ বিক্রি করে বাবর আলী। দীর্ঘদিন ধরে এসব ওষুধ বিক্রি করে বলে জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমন ফার্মেসির পাশের একজন ব্যবসায়ী।

মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি প্রতিটি টাপেন্টা ট্যাবলেট ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। এব্যাপারে মেহেরপুরের সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী একটি টিম ছদ্মবেশে এইসব ব্যথানাশক ট্যাবলেট কিনতে গেলে ইমন ফার্মেসির একজন কর্মচারী সাথে প্রতিপিস টাপেন্টা ট্যাবলেট ২৮০ টাকায় দরদাম হয়। কিন্তু পরে তারা টের পেয়ে গেলে অনুসন্ধানী টিমের কাছে ঔষধ বিক্রি করতে অস্বীকার করে।

দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা করে তিনি অনেক অর্থ কামিয়েছেন ফার্মেসীর মালিক। সেই সাথে ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ বিক্রয় করা অভিযোগ রয়েছে সাংবাদিকদের কাছে। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এসব ব্যথানাশক ঔষধ হার্ড অ্যাটাক ক্যান্সার এর মত মারাত্মক ব্যথার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।কিন্তু এসব ওষুধগুলো অতিরিক্ত সেবন করলে এগুলোর প্রতি অ্যাডিক্টেড হয়ে পড়বে যে কেউ।

ঐ সমস্ত অ্যাডিক্টেড ব্যক্তিরা ভয়াবহ অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি এসব ঔষধ অতিরিক্ত সেবন করে খুনের মতো অপরাধও করে ফেলতে পারে। টাপেন্টা বিক্রযয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ইমন ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী বাবর আলী প্রথমে ঔষধ বিক্রির ব্যাপারে অস্বীকার করলেও পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়ে ক্ষমা চান।

ইমন ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী বাবর আলীর ছেলে ইমন বলেন সরকার টাপেন্টা ট্যাবলেট বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করলেও আমাদের ক্রয়কৃত ঔষধ কোম্পানি ফেরত না নেওয়াই,ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেছি।এক সপ্তাহ আগে আমাদের এসব ঔষধ ফুরিয়ে যাওয়ায় এখন আর বিক্রি করি না।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram