দ্রুততম মানবের অধীনেই চলবে সাকিবের ট্রেনিং

সাকিব আল হাসান ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) পৌঁছেন । যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন দীর্ঘ ৫ মাস পর। করোনায় গৃহবন্দি জীবনে বড় বড় চুল হয়েছিল । তাই তিনি চুল ছেঁটে ছোট করেছেন। প্রথম দিন জিম করেছেন। শনিবার সকাল ৯টায় বিকেএসপির অ্যাথলেটিক কোচ আবদুল্লাহ হেল কাফীর সঙ্গে দেখা করেছেন সাকিব। কাফী বাংলাদেশের সাবেক দ্রুততম মানব। তার অধীনেই চলবে সাকিবের ট্রেনিং।
এরপর সাকিব তার দুই শিক্ষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে সেশন করবেন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। আপাতত সাকিব বিকেএসপি-১ নম্বর মাঠ সংলগ্ন ইনডোরে ব্যাটিং-বোলিং করবেন । তবে ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে বিকেএসপি’র-৩ নম্বর মাঠের সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং ও বোলিং শুরু করবেন । তার জন্য সেই উইকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে । বিকেএসপি’র একটি সূত্র জানিয়েছেন ৮ই অক্টোবর পর্যন্ত সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করবেন তিনি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বর্তমানে আইসিসির নিষিদ্ধ ক্রিকেটার। জুয়াড়ির প্রস্তুাব পেয়ে তা জানাননি আইসিসি ও বিসিবিকে। যার কারণে ১০ মাস ধরে মাঠের বাইরে। তবে আর ৫৩ দিন পর সাকিব ফিরছেন ক্রিকেটে। মুক্তি মিলবে সাকিবের ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে। তাই বিকেএসিতে এই সময়টায় চলবে সাকিবের নতুন করে ফিরে আসার লড়াই।
এ লড়াইয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার ফিটনেস। তাই বিকেএসপির অ্যাথলেটিক্স কোচকে পাচ্ছেন সাকিব তার নিজের ট্রেইনার হিসেবে। এই বিকেএসপিতেই তিনি শিখেছেন ক্রিকেটের অ, আ, ক, খ। তার সেই শিক্ষা জীবনে বড় ভূমিকা ছিল তখনকার বিকেএসপির দুই শিক্ষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের। এর মধ্যে নাজমুল আবেদিন দীর্ঘদিন ছিলেন বিসিবির গেম ডেভালপমেন্টের ম্যানেজারের দায়িত্বে। তবে হঠাৎ করেই চাকরি ছেড়ে চলে যান তার পুরানো প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে। সেখানে বর্তমানে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। আর সালাউদ্দিন জাতীয় দলের সাবেক সহকারী কোচের দায়িত্বেই ছিলেন। বর্তমানে তিনি দেশের সেরা কোচদের একজন হিসেবেই পরিচিত। এছাড়াও সাকিবের ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব নেয়া কাফী ২০০৯ সাল থেকে বিকেএসপিতে কোচ হিসেবে কর্মরত আছেন। কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে জাতীয় দলেও। এই বছরই পেয়েছেন পেয়েছেন ইয়ুথ একাডেমি কোচের সনদ। আজ সাকিব ট্রেনিং শুরু করবেন বিকেএসপির কাফীর কাছে। মূলত জিম, ট্রেনিং, আর ইনডোরে ব্যাটিং-বোলিং দিয়ে চলবে তার কর্যক্রম।
অন্যদিকে ১২ই সেপ্টেম্বর সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন হবে দুপুর ২টার পর। এর আগে সাকাল ১০টায় রানিং করবেন। পরদিন তিনি সকালে ব্যাটিং ও বিকালে বোলিং করবেন। এভাবে ৮ই অক্টোবর পর্যন্ত চলবে তার সেন্টার উইকেটে নিজেকে প্রস্তুত করার লড়াই। তবে যতটা জানা গেছে নিষেধাজ্ঞা ওঠার আগেই তাকে যেতে হবে শ্রীলঙ্কায়। অন্তত ১৫ দিন আগে সেখানে থাকতে হবে। কারণ শ্রীলঙ্কা সরকারের নিয়ম অনুসারে তাকে থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে। বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন লঙ্কা সফরে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারবেন সাকিব। খসরা সূচি অনুসারে সফরে দ্বিতীয় ম্যাচ শুরুর কথা ৩১ অক্টোবর। আর ২৯শে অক্টোবরের পর সাকিবের ক্রিকেট খেলতে বাধা নেই।