অতিরিক্ত চুল পড়ার ছয়টি কারণ, কীভাবে প্রতিকার পাবেন
চুল আঁচড়াতে গেলে স্বাভাবিকভাবে চুল পড়া স্বাভাবিক বিষয়। তবে চুল পড়া যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত হয়ে যায়, তবে সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায়। কারণ অতিরিক্ত চুল পড়া মানে চুলের বাড়তি পরিচর্যা প্রয়োজন।
চুল পড়ার কারণ জানা থাকলে তার প্রতিকার করা অনেক সহজ। অতিরিক্ত চুলপড়ার কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা কী বলেন, চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক -
জন্ম নিয়ন্ত্রণ
নারীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় জন্ম বিরতিকরণ পিল বা বড়ি ব্যবহার করা বা এক বড়ি পরিবর্তন করে অন্য বড়ি খাওয়া চুলের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ধরনের অধিকাংশ বড়িতে প্রোজেস্টেরন থাকে, যাকে চুল পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ। তাই এই ধরনের ওষুধ নির্বাচনের আগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিৎ।
গর্ভাবস্থা
গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন হয়। এতে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। গবেষকদের মতে, এই সময় চুল পড়া খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে স্থায়ী চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। সাধারণত, সন্তান জন্মদানের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে এই ধরনের সমস্যার আপনা আপনি ঠিক হয়ে যায়। যদি এমনটা না হয়, তাহলে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন
আপনি এক ধরনের খাবার থেকে নতুন খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হতে চাইলে বা ক্যালরি বহুল খাবার বাদ দিতে চাইলে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান বাদ পড়ে যেতে পারে। ডাক্তারদের মতে, শরীরের প্রতি কেজি ওজনের ভিত্তিতে প্রোটিন গ্রহণ করতে হয়। প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রায় ০.৮ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিৎ। চুল ভালো রাখার অন্যতম চাবিকাঠি হলো নিয়োমিত প্রোটিন গ্রহণ। কারণ চুলের গোড়া প্রোটিন দিয়ে তৈরি। চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল প্রোটিনের স্বল্পতা। আপনার এমন টি হলে প্রোটিনযুক্ত খাবার খান।
ভিটামিনের স্বল্পতা
ভিটামিন বি-১২ ও ডি’র স্বল্পতার কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই দুই উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে ও মাথার ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে। মাংস ও দুধের তৈরি খাবারে ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। এই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করতে পারেন।
চুলের ‘ট্রিটমেন্ট’
চুল রং করা, রিবন্ডিং করা, স্টাইলিংয়ের মাধ্যমে চুলের স্বাভাবিক ধরনের পরিবর্তন করা চুল পড়ার অন্যতম কারণ। চুলে যতটা সম্ভব রাসায়নিক উপাদান কম ব্যবহার করা উচিৎ।