বেকারত্ব ঘোচাতে শিক্ষিত যুবক শিহাদুল ইসলামের সবজি চাষ
গাংনী প্রতিনিধিঃ হার না মানা এক যুবক।পরিবা, সমাজ বা রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে নয় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই সমাজের বুকে। অবহেলার সাথে নয় সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সবার সামনে। তাই,সবজি চাষ করে নিজের ভাগ্য ফেরালো মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের শিহাদুল ইসলাম গোলাম (৩০)।প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ তবুও মেলেনি কোন চাকরি। তাই নিজের বেকারত্ব ঘোচাতে বেছে নেয় সবজি চাষ।
শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে তিনি ছাতিয়ান পুরুষ কৃষক সমবায় সমিতি (সি আই জি) এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে সবজি চাষ করছে এই যুবক। তার অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা এবং শ্রম সবকিছুর সমন্বয়ে খুব দ্রুত সফলতা তার কাছে ধরা দেয়। এখন সে স্বাবলম্বী। তার বাৎসরিক আয় প্রায় চার থেকে পাচ লক্ষ টাকা।প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ। বাঁধাকপি, মরিচ, পটল ইত্যাদি সবমিলিয়ে মিলিয়ে প্রায় চার বিঘা জমিতে রয়েছে তার সবজির আবাদ। সবজির সাথে ফল হিসেবে তিনি কলা চাষ করেন। তার কাজ অনেকটাই প্রাকৃতিক উপায়েই সম্পাদন করেন। সবজি চাষের অনুপ্রেরণার উৎস সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, "দীর্ঘদিন ধরে বেকার জীবন যাপন করছিলাম।
এই বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে কিছু করতে হবে এমন চিন্তা ভাবনা যখন মাথায় আসে তখন দেখি এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সবজির ব্যবসা চলছে। আমি স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিই এবং সেই অনুযায়ী সবজির আবাদ করি। প্রথমদিকে অল্প জমিতে আবাদ করলেও এখন আমি অনেক জমিতে আবাদ করি। এই সবজিগুলো তুলে আমি স্থানীয় পাইকারি বাজারে বিক্রি করি।যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি ফলানো যায় তাহলে সবজির চাহিদা পূরণ করে এলাকার বাইরে পাঠানো সম্ভব।" তিনি আরোও জানান,আমাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার অন্যান্য যুবকেরাও সবজি চাষের প্রতি আগ্রহী হয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হলে তার সবজি ফলন বাড়ানো সম্ভব এবং তা দিয়ে এলাকার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম শাহাব উদ্দিন জানান, তার চাষকৃত সবজি জমিগুলো পরিদর্শন করে দেখা হবে এবং কিভাবে উচ্চমূল্যের এবং উচ্চ ফলনশীল সবজি আবাদ করে দ্রুত অধিক আয় করা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হবে। সরকারি সুযোগ সুবিধা যেমন সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হবে।