১লা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুন্ডুতে চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা ব্যাক্তি উদ্যোগে সংস্কার করলেন এক প্রবাসী

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
আগস্ট ৩০, ২০২০
130
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ পাঁচ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে অনেকটা জায়গা ছিল খানাখন্দে ভরা। তার উপর টানা বৃস্টিতে ওইসব খানাখন্দে আর গর্তেভরা সড়কে পানি জমে বেহাল দশা হয়ে যায়। যানবাহন উল্টে গিয়ে যাত্রীদের আহত হওয়া যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হচ্ছিল। লোকমুখে শুনে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এমন খবরে চুপ করে বসে থাকতে পারেননি তিনি। উদ্যোগ নেন সাধারণ মানুষের দুর্দশা লাঘবের।

নিজ অর্থায়নে শুরু করেণ সড়ক সংস্কার। স্থানীয়দের মাধ্যমে ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কারের জন্য আনা হয় খোয়া ও বালু। শুরু হয় ব্যক্তি উদ্যোগে খানাখন্দে ভরা বেহাল সড়ক সংস্কারের কাজ। ঘটনাটি ঝিনাইদহের হরিণাকুÐু উপজেলার জোড়াদহ ইউনিয়নের কালিতলা এলাকার। উপজেলার সাধুহাটি- তৈলটুপি লালন সড়কের জোড়াদহ কালিতলা এলাকায় সড়কের ওপর বিটুমিন ও খোয়া উঠে সৃস্টি হয়েছিল খানাখন্দ ও গর্তের। পানি জমে সেখানে জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়। জনসাধারণ আর যানচলাচলে চরম ভোগান্তির সৃস্টি হয়।

এ অবস্থায় ওই বেহাল সড়ক সংস্কারে এগিয়ে আসেন ওই ইউনিয়নের তরুণ সমাজসেবক জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া। তিনি নিজ অর্থায়নে ওই বেহাল সড়ক সংস্কার করে লাঘব করেণ জনদুর্ভোগ। উপজেলা এলজিইডি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শহরের দোয়েল চত্তর মোড় থেকে তৈলটুপি পর্যন্ত সড়কটি ১৬ কিলোমিটার। ২০০০ সালে সড়কটির কার্পেটিংয়ের কাজ হয়েছে।

এর মধ্যে ভবানিপুর বটতলা থেকে জোড়াদহ বাজার পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়ক পাঁচ বছর আগে সংস্কার করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, গত প্রায় ৪/৫ বছর ধরে সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে, কার্পেটিং উঠে বেহাল দশা হয়েছে। বিশেষত জোড়াদহ কালিতলা এলাকায় সড়কের বিটুমিন ও খোয়া উঠে খানাখন্দের সৃস্টি হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ি ফারুক হোসেন জানান, বেহাল এই সড়কে প্রায়ই যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হয়।

জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার বলার পরও তাদের সাড়া মেলে না। এই বর্ষায় সড়কটি একেবারেই চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়ে। কালিতলা বাজারের ব্যবসায়ি ডা. মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, মাঝে মাঝে এখানে বেহাল সড়কের ওপর দুর্ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সড়কের বেহাল দশা আর জনদুর্ভোগের কথা জেনে তরুণ সমাজসেবক জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেণ।

এসময় বাবু তাকে বলেণ, যত টাকা লাগবে তিনি দিবেন। আপনারা সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু করেণ। তাই বাবু মিয়ার অর্থায়নে আমরা ইট, খোয়া আর বালু এনে সড়কটি মেরামতের কাজ শুরু করেছি। তিনি আরও জানান, তরুণ সমাজসেবক বাবু মিয়া ইতিমধ্যে জোড়াদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ভাঙাচোরা সড়ক নিজ অর্থায়নে মেরাম করেছেন।

এছাড়াও ইউনিয়নের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, ভর্তি, অসহায় মানুষদের নিজ অর্থায়নের চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ নানা সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে ব্যপক ভূমিকা রেখেছেনে। তিনি একজন তরুণ সমাজসেবক হিসেবে ইতিমধ্যে ব্যপক সাড়া জাগিয়েছেন। এছাড়াও করোনাকালে সমাজসেবক বাবু মিয়া ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে অসহায়দের মাঝে ব্যপক ত্রাণসামগ্রী ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে প্রশংসিত হয়েছেন। তরুণ সমাজসেবক জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া বলেন, একজন মানুষ হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করতে চাই। তিনি জোড়াদহ ইউনিয়নবাসীর যেকোন প্রয়োজন আর দুযোর্গে আজীবন তাদের পাশে থেকে সেবা করে যাবেন বলেও তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram