দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হওয়ার ১৫দিন পর তার লাশ ফেরত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ওপার ভারত ভূখন্ডে বিএসএফ’র গুলিতে আবুল কাশেম (৩৫) নামে বাংলাদেশী এক চোরাকারবারী নিহত হওয়ার ১৫দিন পর তার লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহতের লাশ ফেরত দেওয়া হয়। চল্লিশপাড়া সীমান্তের ৮৫/১০(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন নোম্যান্সল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমের নিহত বাংলাদেশীর লাশ ফেরত দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ১৪১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ জলঙ্গী বিএসএফ ক্যাম্পের অধিনায়ক এসি বলরাম সিং।
এসময় একই ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর সন্তোষ কুমার ও জলঙ্গী থানা পুলিশের পক্ষে এসআই খুরশিদ আলম উপস্থিত ছিলেন। বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ মহিষকুন্ডি কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার দেলোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) নিশিকান্ত ও রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল। পরে নিহত আবুল কাশেমের পরিবারের পক্ষে নিহতের ছোট ভাই মিঠু লাশ বুঝে নেন।
লাশ ফেরতের বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, গত ১৪ আগষ্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবুল কাশেম অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফ তাকে আটক করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। নিহতের শরীরে অসংখ্য ক্ষত চিহ্ন লক্ষ্য করা গছে। লাশ ফেরতের পর সন্ধ্যায় নিহতের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৪ আগষ্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবুল কাশেম দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া সীমান্তের ১৫৭/১৩(এস) সীমান্ত পিলারের নিকট ভারত ভূ-খন্ডে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করলে জলঙ্গী থানার ১৩নং মাজদিয়াড় নামক এলাকায় জলঙ্গী ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ তাকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন শেষে গুলি করে হত্যা করে। নিহত আবুল কাশেম দৌলতপুর উপজেলার রামৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া সীমান্ত এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।