করোনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য আসাবুল হক ঠান্ডুর মৃত্যু

হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি: করোনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আসাবুল হক ঠান্ডু (৫৫) মারা গেছেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ বিকেল ৪ টায় ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
আসাবুল হক ঠান্ডু চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হাজী মৃত সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে। সম্প্রতি তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ হলে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গত ১৮ আগস্ট তাকে ঢাকা ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পপুলার হাসপাতালের আইসিইউ-তে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ভাই-বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
দাপ্তরিক ঝামেলা শেষে গতকাল সন্ধ্যায় লাশ নিয়ে আলমডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়। রাত ২ টার দিকে বাড়িতে পৌঁছতে পারে। ২৮ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১০ টায় বড় বোয়ালিয়া প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে গ্রামের গোরস্থানে লাশ দাফন করা হবে। পারিবারিকসূত্র এমন তথ্য জানিয়েছে।
জানাযায় চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে।
প্রয়াত জেলা পরিষদ সদস্য আসাদুল হক ঠান্ডু এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত নেতা ছিলেন। তিনি প্রায় ৩০ বছর ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন অপরিহার্য নেতা। উপজেলার রাজনীতিতে তার শক্ত অবস্থান ছিল।
তিনি হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের একটানা কয়েক টার্মের সভাপতি ছিলেন। তাছাড়া, এলাকার বহু জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
২৭ আগস্ট বিকেলে তার মৃত্যু সংবাদ এলাকায় পৌঁছলে শোকে মুহ্যমান হয়ে উঠে এলাকাবাসী। পরিবারের সাথে সাথে সহকর্মীদের অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।বেদনাবিহ্বল অনেকের চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠে। সদা হাস্যোজ্জ্বল আসাদুল হক ঠান্ডুর অনুপস্থিতি এলাকাবাসির হৃদয়কে দীর্ঘদিন বেদনা বিধুর অনুভুতি আপ্লুত করবে।
এদিকে, মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বড় ছেলে নাহিদ হাসনাত সোহাগ সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা ও মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, আসাবুল হক ঠান্ডু ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজনীতিক। তার রাজনৈতিক সততা, বিশ্বাসযোগ্যতা, পরিশ্রম, আন্তরিকতা তাকে গণমানুষের নেতা করে তুলেছিল। তার মৃত্যুতে আওয়ামীলীগের অপূরণীয় ক্ষতি হল। যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, আলমডা উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক পৌর সভাপতি আবু মুসা, উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি নূরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি সানোয়ার হোসেন লাড্ডু, মেহেরপুর পল্লি বিদ্যুত সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জিনারুল ইসলাম বিশ্বাস প্রমুখ।