প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে আটকে নাগরকে মাথা ফাটালো এলাকাবাসি
হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা হাটুভাঙ্গা গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ফুর্তি করার সময় একই গ্রামের আসাদুলকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসি। ২৪ আগস্ট সোমবার রাত ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। আসাদুলের মাথায় সেলাই দিয়ে সারারাত আটকে রেখে দুপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার হাটুভাঙ্গা গ্রামের মৃত সোনা মন্ডলের বিল্লাল হোসেন প্রায় ১০ বছর আগে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জোড়পাড়ার রশিদুল ইসলামের মেয়ে শিরিনাকে বিয়ে করে। বিয়ে এক দেড় বছর পর তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহন করে।
বিয়ে প্রায় ৪ বছর পর বিল্লাল টাকা উপার্যন করতে মালেশিয়ায় চলে যায়। বিল্লাল মালেশিয়া যাওয়ার কিছুদিন পর থেকে বিল্লালের স্ত্রী একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আসাদুলের সাথে পরোকিয়া শুরু করে। মাঝে মাঝেই আসাদুল দিনে রাতের আধারে প্রাবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে যাওয়া আসা করত।
তাদের কথাবার্তা চলা ফেরা দেখে প্রতিবেশিদের মনে সন্দেহের বাসা বাধে। প্রায়ই রাতেই শিরিনার ঘরে এসে আসাদুল সারারাত ফুর্তি করত। ২৪ আগস্ট সোমবার রাতে আসাদুল শিরিনার ঘরে ঢোকে। রাত ১টার দিকে পাড়া প্রতিবেশিরা তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে গণধোলাই দেয়। গণধোলাইয়ের এপর্যায়ে আসাদুলের মাথা ফেটে যায়।
রাতেই এলাকাবাসি ডাক্তার ডেকে নিয়ে তার মাথায় ১৩টি সেলাই দিয়ে সারারাত একঘরে প্রেমিক প্রেমিকাকে আটকে রাখে। দুপুরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গেলে তাদেরকে দুপরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে আসাদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদী ভর্তি করেছে বলে জানা গেছে।