চুয়াডাঙ্গায় সমবায় অফিসারের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পদ বহির্ভূতভাবে বিক্রির অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার সাবেক সমবায় অফিসার নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পদ নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিক্রি করে অর্থ আত্মঃসাথের অভিযোগে উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক আলমডাঙ্গা উপজেলা সমবায় অফিসার গত ২০১৫ইং সনে ক্রেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেড চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দ্বায়িত্বে থাকাকালীন উক্ত ব্যাংকের নামীয় রেকর্ডকৃত জমি সর্বমোট ১ একর সাড়ে পাঁচ শতক যাহার মৌজা নং দামুড়হুদা উপজেলাধীন জগনাতপুর আর.এস খতিয়ান নং ৭৭৬, দাগ নং যথাক্রমে ৩৩৯২,৩৪১৯,৩৪২০,৩৭২৩ জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রয় করেছেন।
উক্ত জমি সমূহ তিনটি দলিলের মাধ্যমে বিক্রয় পূর্বক অর্থ আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেছেন জমির ক্রেতাগণ। লিখিত উক্ত অভিযোগসূত্রে জানা যায় ১নং দলিলে ক্রেতা আবেদ আলী, পিতা মৃত সুরত আলী সাং জগনাতপুর, দলিল নং৬৩৭৪ তাং ১৯/১০/১৫ইং, ২নং দলিলে ক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, সাং জগনাতপুর, দলিল নং ১৪০৪ তাং ১৯/০৭/১৯ইং, ৩নং দলিলে ক্রেতা কামাল উদ্দীন, পিতা: মুসা করীম, সাং জগনাতপুর, দলিল নং ১৪০৩, তাং ৭/০৩/২০১৯ ইং।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এসব দলিলের মাধ্যমে সরকারী জমি জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে আনুমানিক ৭লাখ ২২হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন অভিযুক্ত সমবায় অফিসার নাজির হোসেন। সরকারী জমি কিভাবে অবৈধভাবে বিক্রির মাধ্যমে আত্মসাত করা সম্ভব হয় তা নিয়ে নানা রকম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ।
এলাকাবাসীর দাবি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ সরকারী জমির এমন কাজ করতে না পারে। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সমবায় অফিসারের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে সম্মতি দেননি এবং পুনরায় কথা বলতে চেষ্টা করলেও ব্যার্থ হন এ প্রতিবেদক ।
এবিষয়ে জেলা সমবায় অফিসার মৃনাল কান্তি মল্লিক বলেন, আমরা সাবেক সমবায় অফিসার আলমডাঙ্গা নাজির হোসেন সাহেবের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে সরকারী জমি বিক্রির মাধ্যমে আত্মসাতের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি তদন্তের জন্য বিভাগীয় কমিশনার বরাবার লিখিত অভিযোগটি প্রেরন করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করব।