আলমডাঙ্গায় ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান: ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা বাজারের সকল প্রকার পণ্যের দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া। শনিবাব (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার পর হঠাৎ করে আলমডাঙ্গা বাজারের চিত্র পাল্টে গেল। সকালে যে তরমুজ বিক্রয় হচ্ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। সেই তরমুর বিক্রয় হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। কারণ জিজ্ঞাসা করতেই সামনে হাজির ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টিম। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ আলমডাঙ্গা বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে পণ্য ক্রয়ের মেমো, মূল্য তালিকা, ওজনসহ বিভিন্ন বিষয় মনিটরিং করেন।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানসুত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা বাজারে পণ্য নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বেশি মুনাফায় বিক্রয় করা হচ্ছে। তরমুজ পিচ হিসেবে কিনে নিয়ে এসে কেজিতে বেশি মুনাফায় বিক্রি হচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার মেম্বার ফল ভান্ডারের প্রতিষ্ঠানে তরমুজ ব্যবসায়ী রনি আহমেদকে বেশি দামে তরমুজ বিক্রি, তরমুজ ক্রয় মেমো না থাকায় রনি আহমেদকে ৩ হাজার টাকা ও একই অপরাধে মেসার্স মা বাণিজ্যালয়ের তরমুজ ব্যবসায়ী সাকিবকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে। বেশি দামে ফল, খেজুর বিক্রয় ও মূল্যতালিকা না থাকায় মারুফ ফল ভান্ডারের মালিক মারুফকে ১ হাজার টাকা, একই অপরাধে ইয়ানুর ফল ভান্ডারের মালিক ইয়ানুর রহমানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় আলমডাঙ্গা থানার এসআই আমিনুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি বন্ধ করতে প্রতিনিয়ত প্রশাসনিক নজরদারি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিয়োমিত অভিযান প্রত্যাশা ভোক্তা সাধারণের।