১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিমগ্ন পাঠাগারে এয়াকুব আলী চৌধুরী : জীবন ও সাহিত্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধি :
ইমদাদুল হক
আপডেট :
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
205
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আজ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. শুক্রবার বাদ আসর আলমডাঙ্গা নিমগ্ন পাঠাগারে 'এয়াকুব আলী চৌধুরী : জীবন ও সাহিত্য' শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা আব্দুর রশিদের কুরআন কারীম তিলাওয়াতের পর এয়াকুব আলী চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী আলোচনা করেন মাওলানা ইমদাদুল হক এবং তাঁর সাহিত্যের উপর মূল্যায়ন পেশ করেন মাওলানা হোসাইন আহমাদ। তারপর এয়াকুব আলী চৌধুরীর নূরনবী বইয়ের উপর আলোচনা করেন কবি কাজল আহমেদ এবং শান্তিধারা বইয়ের উপর আলোকপাত করেন লেখক নাদিউজ্জামান খান রিজভী। এয়াকুব আলী চৌধুরীর কবিতা পাঠ করেন মোহাম্মদ শারজিল হাসান।

আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতি মাহদি হাসান, মাওলানা আব্দুর রশিদ মিল্টন, মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, প্রভাষক মফিজুর রহমান, মোঃ মুজাহিদ, সোহেল রানা, মুশফিক তরফদার, মেহেদী হাসান স্মরণ, বেলায়েত হোসেন বিপু, তানফিজুর রহমান পল্লব, আবু শুয়াইব শিমুল, সাদিব আল মাহমুদ প্রান্ত, আফনাব আহমেদ নাহিয়ান, মোঃ হানিফুজ্জামান ও মীর মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি।

সাহিত্যিক এয়াকুব আলী চৌধুরী ১৮৮৮ সালে তৎকালীন ফরিদপুর জেলার মাগুরাডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪০ সালের ১৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। ৫২ বছরের জীবনে তিনি সাহিত্য চর্চা করেছেন ১৬ বছর। শারীরিক অসুস্থতা, আর্থিক টানাপোড়েন, পারিবারিক দুর্দশায় লিখতে পেরেছেন খুবই কম। ধর্মের কাহিনী (১৯১৪), নূরনবী (১৯১৮), শান্তিধারা (১৯১৯), মানব মুকুট (১৯২২)— এই চারটি বই তাঁর প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া কিছু অগ্রন্থিত লেখাও আছে। তাঁর লেখালেখির উপজীব্য ইসলাম। তিনি কবি ছিলেন না, কিন্তু তাঁর গদ্যের ভাষা কাব্যিক। উপমা ও চিত্রকল্পে যুক্তি ও আবেগের পরিমিত ব্যবহারে তাঁর গদ্য হয়ে উঠেছে অনন্য সাধারণ। যা যে কোনো পাঠককে টেনে রাখার ও মুগ্ধ করার ক্ষমতা রাখে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram