আলমডাঙ্গায় ভোক্তাধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে দাম কমলো পেঁয়াজের
রবিবার আলমডাঙ্গা সাপ্তাহিক বাজার। সকাল থেকে আড়তে পাইকাররা পেঁয়াজ বিক্রয় করেছে ১শ থেকে ১শ ১০ টাকা কেজি দরে। খুচরা ব্যবসায়ীরা সেই পেঁয়াজ কেজিতে ৩০/৪০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রয় করছিলেন। হঠাৎ জাতীয় ভোক্তাধিকার অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক পেঁয়াজের বাজারে অভিযানে নামেন। এই সংবাদ বাজারে ছড়িয়ে পড়লে প্রত্যক ব্যবসায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১শ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর রবিবার ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তাধিকার অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গার সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গায় প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বাজার। গতকাল রবিবারও ছিল সাপ্তাহিক বাজারের দিন। সকাল থেকে আড়ৎ ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রয় করে ১শ থেকে ১শ ১০ টাকা কেজি। খুচরা ব্যবসায়ীরা সেই পেঁয়াজ ক্রয় করে কেজিতে ৩০/৪০ টাকা বেশি বিক্রয় করছিলেন। হঠাৎ আলমডাঙ্গা বাজারে জাতীয় ভোক্তাধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে আসেন। এই সংবাদ বাজারের ছড়িয়ে পড়লে প্রত্যক ব্যবসায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১শ ২০ টাকা বিক্রয় শুরু করে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার চুয়াডাঙ্গার সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ আলমডাঙ্গা বাজারের ভ্রাম্যমান অভিযান শুরু করেন।
তিনি বিভিন্ন আড়ৎ, খুচরা ব্যবসায়ীর দোকানে অভিযান চালান। এসময় বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রয় , মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার ও পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৪ প্রতিষ্ঠানে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। বাজারের সোহেল ট্রেডার্সে ৩ হাজার টাকা, নজরুল ইসলামের দোকানে ৩ হাজার টাকা, মেসার্স ইউনুস ষ্টোরে ৩ হাজার টাকা ও মন্টু পালের দোকানে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমান অভিযান উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর সভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান জুয়েল, আলমডাঙ্গা থানার এসআই মিজানুর রহমান।