১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৮ অক্টোবর আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির নির্বাচন: প্রচারণা তুঙ্গে

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ২৪, ২০২৩
206
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আর মাত্র তিন দিন বাকী। আগামি ২৮ তারিখ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির নির্বাচন। এ নির্বাচনের ফলাফলই সকল তর্ক ও জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটাবে। তবুও যেন তর সইছেনা প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থির সমর্থকদের।


নির্বাচনকে ঘিরে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। অনেক প্রার্থিকে আত্মীয় পরিজন নিয়ে ভোটের মাঠে নামতে দেখা যাচ্ছে। তবে নির্বাচনে সমিতির কার্যকরী সব পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ছাপিয়ে সভাপতি পদ নিয়ে আলোচনা চলছে বেশী। তিন প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে দুজন একই বংশের। তারা একে-অপরের চাচাতো ভাই হওয়ায় তৃতীয় প্রার্থি সাবেক সভাপতি হাজী মকবুল হোসেন প্রচারণায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বলে মনে করছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক মহল।


জানা যায়, আলমডাঙ্গা বণিক সমিতি আলমডাঙ্গার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সবচে বড় ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। স্বভাবতই এ সমিতির নির্বাচন বেশ জাকজমক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে থাকে। ভোটারসহ সাধারণ্যে এ নির্বাচনকে ঘিরে কৌতুহল ও উদ্দীপনার শেষ নেই। শহরের প্রধান সড়ক, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থিদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে। চায়ের দোকানের দেয়াল এখন পোস্টারে পোস্টারে শোভিত ও সুসজ্জিত। চা দোকানীদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে গেছে। বেড়েছে পান ও সিগারেট বিক্রি। প্রার্থিরা নিজেদের পক্ষের ভোটারদের নিয়ে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে আবার আত্মীয় পরিজন নিয়েও ভোটের মাঠে নেমেছেন। তারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি দুআ চেয়ে নিচ্ছেন।


তবে নির্বাচনী মাঠে ভোটারদের মধ্যে সব পদকে ছাপিয়ে সভাপতি পদ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। এবার সভাপতি পদে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বর্তমান সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, সাবেক সভাপতি হাজী মকবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম লিটন। এদের মধ্যে আরেফিন মিয়া মিলন ও সাইফুল ইসলাম লিটন সম্পর্কে একই বংশের চাচাতো ভাই।

ফলে প্রচারণায় সবচে সুবিধাজনক অবস্থা পেয়ে গেছেন সাবেক সভাপতি হাজী মকবুল হোসেন। এমনটাই ধারণা করছেন ভোটের মাঠের সম্যক ওয়াকিবহাল মহল। তাদের যুক্তি প্রথমত: সাইফুল ইসলাম লিটন ও আরেফিন মিয়া মিলন একই বংশের সন্তান। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। গত তিন বছর আরেফিন মিয়া মিলন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সে কারণে তার ব্যর্থতা ও ত্রুটিগুলি বেশি আলোচিত হচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হাজী মকবুল হোসেন প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে থাকছেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram