আলমডাঙ্গায় বিনিয়োগ সহায়তার আওতায় ছাগল ও ভেড়ার জন্য নির্মিত ৪০টি ক্লাইমেট স্মার্ট সেড উদ্বোধন
আলমডাঙ্গায় বিনিয়োগ সহায়তার আওতায় ছাগল-ভেড়ার জন্য নির্মিত ক্লাইমেট স্মার্ট সেড উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ্যায়নে উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের আয়োজনে কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামে ৪০টি স্মার্ট ক্লাইমেট সেড উদ্বোধন করা হয়। পারকুলা গ্রামের ৪০ জন নারীর আত্মকর্মসংস্থানে ছাগল-ভেড়া পালনের জন্য এ ৪০টি স্মার্ট ক্লাইমেট সেড নির্মান করা হয়েছে।
ক্লাইমেট স্মার্ট সেড উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহিল কাফির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস। এসময় তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা অঞ্চলকে ব্লাকবেঙ্গল গোটের জন্য একটি অভয়াশ্রম বলা যায়। এখানকার জলবায়ু ও পারিপার্শ্বিকতা ভালো ও উষ্ণ অনুকূল আবহাওয়া হওয়ার কারণে ছাগল পালনের ক্ষেত্রে এটা সব থেকে উপযোগী এলাকা। প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং প্রাণিজ পুষ্টির চাহিদা পূরণে ব্লাকবেঙ্গল জাতের ছাগলের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার যে আবহাওয়া তাতে বø্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগলের জন্য বিশেষ উপযোগী।
তিনি আরও বলেন, ছাগল গরিবের গাভী নামে পরিচিত। গ্রাম বাংলার অনেক পরিবারই ছাগল পালনের উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই অন্তত একটি করে হলেও ছাগল পাওয়া যাবে। ব্লাকবেঙ্গল জাতের ছাগলের রোগ বালাই অনেক কম, তাই এই জাতের ছাগল পালনে ঝুঁকিও কম। সরকার খামারি ও ছাগল পালনকারীদের পাশে থেকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে এবং উৎসাহ প্রদান করছে, যাতে ছাগল পালনের পরিধি আরও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি রেজওয়ানা নাহিদ, কৃষি অফিসার রেহানা পারভীন, কালিদাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ শেখ আশাদুল হক মিকা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, উপজেলা রিসোর্চ ইন্সটেক্টর জামাল হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা ডা. মোস্তাকিন মুকুট, মনিটরিং অফিসার আতিকুর রহমান রেহান। আলমডাঙ্গা কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজার উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন কালিদাসপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, মিনারুল ইসলাম, মহাবুল ইসলাম, শিপন আলী, মারফুল হক, সাগর আহমেদ, আফিল হোসেন, নেকাব আলী, ফিরোজ আলী, আলেয়া খাতুন, সাবিহা খাতুন, জলি খাতুন, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হান্নান, সাদ আহমেদ, লিংকন জোয়ার্দ্দার, ছাগল পালনকারী খামারী রুশিয়া খাতুন, জহুরা খাতুন, চায়না, পপি, রাহেলাসহ ৪০ জন খামারী প্রমুখ।