আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড ক্লিনিক ও ফাতেমা ক্লিনিকের নামে থানায় অভিযোগ
![](https://samprotikee.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20231008-WA0037.jpg)
আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড ক্লিনিকের ভুল আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টের উপর নির্ভর করে ফাতেমা ক্লিনিকে প্রসূতি মায়ের ডেলিভারির পর সন্তান মারা যাওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত অপুষ্ট শিশুর পিতা রফিকুল ইসলাম। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ফাতেমা ক্লিনিকের সামনে মৃত শিশুর স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। এরপর থানায় গিয়ে প্রতিকার চেয়ে ওই দুই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার পাঁচ বাড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম তার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখে আলমডাঙ্গার হাজি মোড়স্থ ইউনাইটেড ক্লিনিকে নিয়ে যান। ইউনাইটেড ক্লিনিকে সন্তান সম্ভাবার আল্ট্রসনোগ্রাম করানো হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ৩৬ সপ্তাহে বাচ্চার ওজন দেখায় ২ কেজি ৮৫০ গ্রাম।
অভিযোগে রফিকুল ইসলাম জানান, ইউনাইটেড ক্লিনিকের দেয়া আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট নিয়ে গত ৬ অক্টোবর শুক্রবার ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয় প্রসূতিকে। কিন্ত ফাতেমা ক্লিনিকের স্বত্তাধিকারী মঞ্জুর রহমান পুনরায় তার স্ত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাফি না করে ইউনাইটেড ক্লিনিকের রিপোর্টের ভিত্তিতে সন্তান প্রসব করান। সন্তান প্রসবের পর দেখা যায় ভূমিষ্ট শিশু অপুষ্ট। তার ওজন হয়েছে ২ কেজি ৩০০ গ্রাম। এরপর শিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর সংক্ষুব্ধ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউনাইটেড ক্লিনিক ও ফাতেমা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।