আলমডাঙ্গায় দুই শিশু ও তাদের মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন প্রতিবেশির বিরুদ্ধে
আলমডাঙ্গার নারায়নপুর গ্রামে দুই শিশু ও তাদের মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন প্রতিবেশির বিরুদ্ধে। ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে মা ও তার দুই শিশু সন্তানকে মারধর করে অভিযুক্ত প্রতিবেশীরা। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ জানানো হয়েছে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলে। শিশু সন্তানসহ তাদের মাকে মারধরের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
জানাগেছে, জামজামি ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের বানাত আলীর সাথে একই গ্রামের মৃত জরিপ মন্ডলের ছেলে জামাত আলী ও আব্দার আলীর জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে রবিবার সন্ধ্যায় জামাত ও আব্দার আলী আচমকা বাড়িতে ঢুকে বানাত আলীকে মারধর করতে থাকে।
স্বামীকে মারধর দেখে স্ত্রী নাজমা খাতুন বাধা দেন। এসময় প্রতিবেশী সনজের ও তার স্ত্রী ছাহেরা এবং অপর প্রতিবেশী রহিমা খাতুন এসে মারধরে অংশ নেয়। বাবা-মাকে মারধরের দৃশ্য দেখে নাজমা খাতুনের ছোট্ট ছেলে সামভির ও মেয়ে হোমাইরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়।
নির্মম মারধরের শিকার বানাত আলী ও তার স্ত্রী নাজমাসহ দুই সন্তানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে গ্রামবাসী।
চিকিৎসা শেষে গতকাল সোমবার বিকালে নাজমা খাতুন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে বানাত আলী স্ত্রী ও সন্তানসহ আইনি সহায়তা পেতে নারী নির্যাতন বিষয়ক মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল(ওসিসি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা অফিসে যান । সেখানে প্রোগ্রাম অফিসার হিরোজ কবিরের সাথে কথা বলেন তারা।
এবিষয়ে হিরোজ কবির জানান, নির্যাতনের শিকার ভিকটিমের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান প্রসঙ্গে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। এবং তার অনুলিপি প্রকল্প পরিচালক, নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে প্রদান করা হয়েছে।