খুব নিরবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন মিশু
খুব নিরবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন মিশু। এত অল্প বয়সে (৩৩) চিরতরে হারিয়ে যাবেন সকলের প্রিয় মিশু তা কেউ কল্পনাও করেনি।
সম্প্রতি তিনি হার্ট অ্যাটার্ক করেন। তাকে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকার নোভানা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড কার্ডিয়াকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দুইটার দিকে তিনি মারা যান।
মাত্রাতিরিক্ত স্থুলতায় ভুগছিলেন মিশু। শৈশব থেকেই তিনি স্থুলকায় ছিলেন। স্থুল শরীর নিয়েই শিশু মিশু স্বাভাবিক জীবনযাপনের কোষেস করতেন। হাটাহাটি, খেলাধুলা, পড়াশোনা সব। অত্যন্ত সরল ও মিশুক প্রকৃতির ছিলেন। শহরের একমাত্র স্থুল শিশু ছিলেন মিশু। তারপর আবার অত্যন্ত মিশুক। সব মিলিয়ে মিশু সকলের নিকট সহজেই প্রিয় হয়ে উঠেন। সকলের আদর কেড়েছেন। সকলের সাথেই ছিল সহজ আন্তরিকতা।
হোটেল ম্যানেজমেন্ট এন্ড ট্যুরিজম নিয়ে পড়াশোনা করে নিজ শহরে ফিরে আসেন। নিজেই হয়ে উঠেন উদ্যোক্তা। গড়ে তোলেন " মিশুর রান্নাঘর"। শহরে বেশ পরিচিতি পেয়েছে তার এ উদ্যোগ। ব্যবসা মোটামুটি চলছিল। এরই মধ্যে এ দু:সংবাদ!
আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার আশরাফুল আজাদ বলুর একমাত্র ছেলে মিশু বিবাহিত ছিলেন। তার দুটি সন্তান। তারা একেবারেই শিশু। ২/৩ বছর বয়স। পিতা কী তা বুঝে উঠার আগেই তাদের হতে হল পিতৃহারা। মাথার উপর থেকে বটবৃক্ষের ছায়া অপসারিত হল। ভবি্য্যত হল কণ্টকাকীর্ণ। স্বামীকে হারিয়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে স্ত্রী এখন দুচোখে অন্ধকার দেখছেন।
গতকাল বাদ জুমা জানাযা শেষে আলমডাঙ্গা দারুস সালাম কনরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।