আলমডাঙ্গায় বজ্রপাত রোধে প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তায় ৩০ হাজার তালগাছের বীজ রোপন
আলমডাঙ্গায় বজ্রপাত রোধে প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তায় ৩০ হাজার তালগাছের বীজ রোপন করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে এ তালবীজ রোপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে উদ্যোগে ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার আলমডাঙ্গা টু সরোজগঞ্জ রাস্তার দুপাশে তালবীজ লাগিয়ে উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী আরিফউদ্দৌলার সভাপতিত্বে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম।
উদ্বোধনকালে চুয়াডাঙ্গা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তালগাছের ভ‚মিকা স্বীকৃত। বন্যা ও ভ‚মিধস রোধেও তালগাছের গোড়া ও শিকর ভালো ভ‚মিকা রাখে। তা ছাড়া তালগাছ রোপণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। তালগাছ প্রায় ১০০ বছর বাঁচে। এ গাছ থেকে ফল, তালের রস, ঘর তৈরির অনুষঙ্গ হিসেবে খুব মজবুত কাঠ পাওয়া যায়। তাই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৮টি রাস্তায় ৩০ হাজার তালগাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এতে বজ্রাঘাতে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা কমার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। তিনি আরও বলেন, এছাড়া উপজেলার প্রায় ৩শ ৮০ কিলোমিটার রাস্তায় ৪০ লাখ খেজুর বীজ, প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় ২ হাজার আম, তেতুঁল ও কাঠাল বীজ রোপন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আরিফউদ্দৌলা জানান, স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে উপজেলা এলজিইডি অধিদপ্তর এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি তাল বীজ সংগ্রহ করে প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তায় রোপন করা হয়েছে । এছাড়াও কাঠাল বীজ, তেতুঁল বীজ, আম ও খেজুর বীজ সংগ্রহ করে রোপন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এক সময় আমরা আপনাদের উপজেলা ছেড়ে চলে যাব। কিন্তু এই রোপনকৃত বীজের গাছ থেকে আমাদেরকে আপনারা সারা জীবন মনে রাখবেন। ইতোপূর্বে আমি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বেশ কয়েক হাজার তালগাছ রোপন করেছি। সেগুলো দেখার মতো হয়েছে।
তালগাছের বীজ রোপনকালে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা এলজিইডি অধিদপ্তরের কমিউনিটি অর্গানাইজার হারুন অর রশিদ, উপসহকারী প্রকৌলশী লিয়াকত আলী, আব্দুস সামাদ, কার্যসহকারি সোহরাব হোসেন, ওয়ারেশ আলী, জাফর, সুপারভাইজার আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহিম, মোশারফ আলী, রেহেনা খাতুন, জুন্নুরাইন, রতনা খাতুন,সাগরী খাতুন প্রমুখ।