আলমডাঙ্গা কাছারি বাজারের মরা কদম গাছটি অপসারণের দাবি ব্যবসায়ীদের
শরিফুল ইসলাম রোকন: আলমডাঙ্গা শহরের কাছারি বাজারে ঝুকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মরাগাছের নিচে ব্যবসা করছেন ওষুধ ব্যবসায়ীসহ কিছু কাঁচামাল ব্যবসায়ী। গাছের পাশেই রয়েছে কয়েকটা বাসাবাড়ি। একটু জোরে বাতাস হলেই গাছটি ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়। প্রায় ৫০ বছর বয়সী একটি কদম গাছ কয়েক বছর আগে মারা গেছে। গাছটিতে বড় একটি গর্ত(ধোর) হয়েছে। গাছটি অপসারণের দাবী তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা শহরের কাছারি বাজার(পুরাতন গুড়ের হাট)। এখানে রয়েছে প্রায় ৫০ বছর বয়সী একটি কদম ফুল গাছ। এই গাছের আশপাশে বেশকিছু দোকানঘর ও বসতবাড়ি রয়েছে। গত কয়েক বছর আগে গাছটি মারা যায়। গাছে নিচের বসতবাড়ি ও ব্যবসায়ীরা প্রাণের ঝুকি নিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যবসা করে যাচ্ছে। সপ্তাহে দুইদিনসহ প্রতিদিন সকালে এই বাজারে শতশত মানুষ তাদের মালামাল বিক্রয় করতে আসে। একটু বাতাস হলেই গাছটি ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়। গাছটিতে বড় একটি গর্ত(ধোরের) সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর ভেঙ্গে পড়লে প্রাণ নাশের আশঙ্কা রয়েছে।গাছটি অপসাণেরর দাবী তুলেছে এই এলাকার ব্যবসায়ীরা। এই গাছটি অপসারনের জন্য পৌরসভার মেয়রের নিকট মৌখিক ও লিখিত আবেদনও করেছে ব্যবসায়ীরা।
ওষুধ ব্যবসায়ী সামসুল আলম জানান, এই গাছটির বয়স প্রায় ৫০ বছরের বেশি। গাছটিতে বড় ধরনের একটি গর্ত(ধোর) হয়েছে। আমরা এই গাছের নিছে প্রাণের ঝুকি নিয়ে ব্যবসা করছি। গাছটি দ্রæত কেটে ফেলা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
চিকিৎসক ও ওষুধ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান জানান, গাছের নিচেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেকোন সময় গাছটি ভেঙ্গে পড়তে পারে। গাছটি দ্রæত কেটে না ফেললে ভেঙ্গে পড়ে আমাদের জানমালে ক্ষতি হতে পারে। আমরা পৌরসভার মেয়রের নিকট আবেদন করেছি। তিনি উপজেলা সহকারি ভ‚মি কর্মকর্তার নিকট আবেদন করার জন্য বলেছেন।
খাদেমুল ইসলাম জানান, গাছটির নিচে আমার বাড়ি। রাতে গাছটি ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে ঘুমাতে পারি না। না জানি কখন বাড়ির উপর গাছটি ভেঙ্গে পড়ে। মরা কদম গাছটি দ্রæত কেটে ফেলা প্রয়োজন।
এছাড়া কাছারি বাজারের প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী মরা কদম গাছটি কেটে ফেলার দাবী জানিয়েছেন। তারা জানান, গাছটি কেটে ফেলা না হলে যেকোন সময় বড় ধরনের একটি দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।