২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি প্রস্তুত করার অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
আগস্ট ১০, ২০২৩
77
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি প্রস্তুত করার অপরাধে আলমডাঙ্গা শহরের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টির কারখানা ৭ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।


৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারে এ জরিমানা করা হয়।


এলকাবাসি জানায়, ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার তাদের কারখানায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার ভ্রাম্যমান আদালতে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছে। তাতেও তারা সতর্ক হয়নি। জরিমানা করার পর কয়েকদিন একটু পরিস্কার পরিচ্ছন্নভাবে মিষ্টি তৈরী করলেও কয়েকদিন পর যা তাই হয়ে যায়।


চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, আলমডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্রে চারতলার মোড়ে অবস্থিত অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের এলাকায় এক নামে পরিচিত। তাদের কারখানাটি শোরুম থেকে বেশ কিছুটা দুরে বড় ক্যানেলের পাশে। চারতলার মোড়ে তাদের দোকান ও শোরুম। তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের অভিযোগের শেষ নেই। তাদের মিষ্টির কারখানায় নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। যেখানে মিষ্টি তৈরি করে সেখানেই রয়েছে খোলা টয়লেট। টয়লেটটি তারা নিয়মিত পরিস্কারও করে না। সোমবার দুপুরে তাদের কারখানায় অভিযান চালিয়ে পচা মিষ্টি ও মিষ্টির পরিত্যক্ত রস উদ্ধার করা হয়। যা দিয়ে তারা পরবর্তিতে আবারও মিষ্টি তৈরীর কাজে লাগায়। তারা দইয়ের পাতিলে মানুষকে ওজনে কম দিয়ে আসছে। প্রতিকেজি দইয়ে ৩শ গ্রাম থেকে ৪শ গ্রাম কম দিয়ে আসছিল। এসব অপরাধে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক হারান অধিকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং কারখানা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য ৭ দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে পচা মিষ্টি ও মিষ্টির রস ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়।


তিনি আরও বলেন, এই ৭ দিন সময়ের মধ্যে অধিকারি মিষ্টান্ন ভান্ডারে পরিবেশ ঠিক করতে না পারলে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।
জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলার শাখার সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ। এসময় আলমডাঙ্গা থানার এসআই তারিফুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram