পরোকীয়া জুটির গলায় জুতা-স্যান্ডেলের মালা পরিয়ে মারপিট মামলায় তিন আসামী গ্রেফতার
আলমডাঙ্গার তিওরবিলা গ্রামে পরোকীয়া জুটির গলায় জুতা-স্যান্ডেলের মালা পরিয়ে মারপিট মামলায় তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ৩১ জুলাই সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার তিওরবিলা গ্রামের কনেচ আলীর ছেলে ভূষিমাল ব্যবসায়ী লালন আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই রাতেই খাসকররা ক্যাম্প পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন -খাসকররা গ্রামের মৃত আকছেদ মল্লিকের ছেলে শফি মল্লিক (৬০), একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আলী (৩০) ও মৃত ধোলাই জোয়ার্দ্দারের ছেলে কলম জোয়ার্দ্দার (৬০)। গতকালই তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, লালন আলী তার প্রবাসী প্রতিবেশি পান্নার স্ত্রী সালমা খাতুনের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত। এমন অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামে সালিশের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের সন্তান ও খাসকররা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান তাফসির হোসেন লালের শত্রুতা রয়েছে। সে কারণে তাফসির আহমেদ মল্লিক লাল তাদের বিরুদ্ধে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ তুলে ওই সালিশের আয়োজন করেন। গত ২৯ জুলাই দুপুরে তিনি কয়েকজন ব্যক্তিকে লালনের বাড়ি পাঠিয়ে দেন লালন আলীকে সালিশে নিয়ে যেতে।
সে সময় লালন সালশে যেতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লাল অন্যান্য আসামিদের সাথে নিয়ে লালন আলীকে বাড়ি থেকে টেনেহিচড়ে সালিশস্থলে নিয়ে যায়। তারপর সালমা খাতুনকেও সে সালিশে উপস্থিত করা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মারপিট করা হয়। মারপিটের মধ্যসময়ে কয়েক শ গ্রামবাসীর সামনে তাদের দুজনকেই জুতার মালা গলায় পরানো হয়। শেষে আবার তাদেরকে মারপিট করা হয়। এমনকি গ্রাম ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৫ জনের নামে নির্যাতনের শিকার লালন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক মেম্বারকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।