স্কুলের সাথে প্রধান শিক্ষকের ছেলের হাঁস-মুরগির ফার্মঃ কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার বাড়াদী মীর আবেদা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই হাঁস-মুরগির ফার্ম গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ছেলের বিরুদ্ধে। ফার্মের হাঁস-মুরগির বর্জ্যের দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ে পাঠরত কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, বাড়াদী মীর আবেদা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ ঘেষে ওই বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রেবেকা খাতুনের ছেলে জুবায়ের হাঁস-মুরগির ফার্ম গড়ে তুলেছেন। হাঁস-মুরগির বর্জ্যের দুর্গন্ধে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান করা দায় হয়ে পড়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থিদের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
এমতাবস্থায়, অভিভাবকসহ গ্রামের সচেতন মানুষ প্রধান শিক্ষক ও তার ছেলের অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থিদের স্বাস্থ্যসম্মত লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হাঁস-মুরগির ফার্মটিকে স্থানান্তরিত করার দাবিতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাড়াদী গ্রামের ইউপি সদস্য শেখ আমিন উদ্দীন জানান, এটা খুব স্পর্শকাতর বিষয়। শিশু শিক্ষার্থিদের পড়ালেখার পরিবেশ ব্যাহত হয় এমন কাজ কারও করা উচিত নয়। অথচ, খোদ প্রধান শিক্ষিকার ছেলে এ হাঁস-মুরগির খামার করেছেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক রেবেকা খাতুনের সাথে কথা বলেও ভাল কিছু হয়নি। স্কুলের জমিতে নয়, নিজেদের জমিতে ফার্মটি করা হয়েছে বলে রেবেকা খাতুন দাবি করেছেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা জানান, গ্রামবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক রেবেকা খাতুনের সাথে কথা বলেছেন। প্রধান শিক্ষিকা ফার্মটি সরিয়ে নিতে সময় চেয়েছেন। যে জমিতে ফার্মটি স্থানান্তরিত হবে সেখানে এখন কলাগাছ আছে। সে জন্য তারা কিছুটা সময় চেয়েছেন। বিদ্যালয় খুলে গেলে দ্রুত যাতে ফার্মটি স্থানান্তর করা হয় সেটি নিশ্চিত করা হবে।