কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার সুতাইল গ্রামের এরশাদ আলী জবাই করে হত্যাকারী সহকর্মি আশিক বিল্লাহ আটক
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার সুতাইল গ্রামের এরশাদ আলী নামে এক যুবককে তার সহকর্মি কক্সবাজারের চকরিয়া জবাই করে হত্যা করেছে। হত্যার ঘটনায় তার সহকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের পাশের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ আলী (২৮) কুষ্টিয়া জেলার মিররপুর উপজেলার সুতাইল গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হেল্থ কেয়ারের সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ (এসআর) হিসেবে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার পর জড়িত সন্দেহে একই প্রতিষ্ঠানের মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ (এমআর) ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার আশিক বিল্লাহকে (৩৪) ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। ফেলে যাওয়া মোটর সাইকেল আনতে গিয়ে তিনি আটক হন। তারা দু’জনই চকরিয়া উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।
চকরিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, মূল্যহ্রাসে ভিন্ন দোকানে কোম্পানির ওষুধ বিক্রিকে কেন্দ্র করে এস আর এরশাদ আলীর সাথে বাদানুবাদ হয় এম আর আশিক বিল্লাহর। এ সময় এরশাদ আলী বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানোর হুমকি দেন। এতে চাকরি হারানো ভয়ে সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে এরশাদ আলীকে জবাই করে হত্যা করে আশিক বিল্লাহ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা বলেছেন আশিক বিল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। আটক আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোম্পানির বিষয় নাকি তাদের মধ্যে পারিবারিক কোন রহস্য আছে কিনা পুলিশ তা ক্ষতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।
এরশাদ আলীর একটি ছেলে তার বয়স ৫ বছর। তিনি কক্সবাজার থেকে বদলী হয়ে চলে আসবেন বলে কয়েক মাস আগে স্ত্রী সন্তানকে বাড়িতে রেখে যান।
এরশাদ আলীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে এ সংবাদ জানার সাথে এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। পরিবারের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া। এরশাদ আলীর মরদেহ নিয়ে আসার জন্য তার পরিবারের লোকজন ১৬ জুলাই রবিবার রাত ১০টার দিকে চকরিয়া পৌছায়েছেন।