আলমডাঙ্গার রামদিয়ায় জোর পূর্বক বাঁশ কেটে এক ব্যক্তির জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ
আলমডাঙ্গার রামদিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান ও তার চাচাতো ভাইদের জমির বাঁশ জোর পূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের ফরিদ উদ্দিন গংয়ের বিরুদ্ধে। ৭ জুলাই শুক্রবার দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমির বাঁশ কেটে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বাঁশ কাটা বন্ধ হয়। এ ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার রামদিয়া গ্রামের নজির উদ্দিন ও তার ভাইয়েরা ১৯৮৬ সালে গুলডো হালিমা নামের এক মহিলার কাছ থেকে আরএস ২০১ খতিয়ানের ১৮৭৩ দাগে ১০,০৫ শতক জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর একই গ্রামের মৃত মঙ্গল মন্ডলের ফরিদ উদ্দিন ক্রয়করা দলিলের বিরুদ্ধে আদালতে টাকা আমানত করে কমিশন চায়।
কমিশনার সরেজমিন তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করে ফরিদ উদ্দিন যার ভিত্তিতে আমানত করেছে তা সঠিক নয়। ফলে ফরিদউদ্দিনের আমানত বাতিল হয়ে যায়।
নজিরউদ্দিন দিগর ১৯৮৬ সাল থেকে দীর্ঘদিন ওই জমি ভোগদখল করে আসলেও হঠাৎ করে গতকাল শুক্রবার গ্রামের আফছার জোয়ার্দ্দারের ছেলে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি আনছার আলী ও তার ভাতিজা ফরিদউদ্দিনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নজির উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান ও তাদের ওয়ারিসদের জমিতে গিয়ে জোর পূর্বক প্রায় ৫শ' বাঁশ কেটে ফেলে। সংবাদ পেয়ে ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তারা বাঁশ কাটা বন্ধ করে।
এদিকে ভ্ক্তুভোগী পরিবারের প্রশ্ন ফরিদউদ্দিন যদি জমির মালিক হয়ে থাকেন তাহলে জমি দাবী না করে কেনো আমানত করতে গেলো?
ফরিদ উদ্দিনের জমির কোন সত্ত¡ না থাকলেও এলাকার প্রভাবশালী আনছার আলীর ইন্ধনে সে এ কাজ করেছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের নিকট তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচার দাবী করেছেন।