জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান শিলনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মাদকব্যবসা করতে বাধ্য করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মকলেছুর রহমান শিলনের বিরুদ্ধে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক মাদকব্যবসা করানোর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী কামাল হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী কামাল হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেছেন যে, মাদক ব্যবসা করতে অস্বীকার করায় চেয়ারম্যান শিলন তাকে জীবননাশের হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এছাড়াও তার বাড়িতে রাত-দিনে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন আরও বলেন, গত ২০২১ সালে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মকলেছুর রহমান শিলন বিজয়ী হন। তিনি জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। চেয়ারম্যান শিলন নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর থেকে মাদকব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। কামাল কৃষি কাজ করে সংসার চালান দাবি করে বলেছেন, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চেয়ারম্যান তার সাথে চলাচল করতে বলেন। জোরপূর্বক ২০২২ সালে গোপনে মোটরসাইকেলে মাদক পাঠিয়ে কেদারনগর গ্রামে পৌঁছে দিতে বলেন। আগেই র্যাব উপস্থিত রাখেন চেয়ারম্যান শিলন। পরে র্যাব তাকে খুঁজছে ও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। একপর্যায়ে কামাল শিলন চেয়ারম্যানের নির্দেশে কোর্টে আতœসমর্পন করেন। বর্তমানে জামিনে আছেন। জেল থেকে বের হলে আবারও তাকে চেয়ারম্যান নানা কৌশলে তার মাদকব্যবসার সাথে জড়িয়ে ফেলেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান তাকে কোন মামলা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। গত দেড় বছর যাবৎ মাদকব্যবসার পাশাপাশি অন্যান্য অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন বলে কামাল অকপটে স্বীকার করেন।
ইতোমধ্যে পুলিশি অভিযান চলার কারণে তিনি পরিবার ও সমাজের চাপে মাদক ব্যবসা থেকে বেরিয়ে এসেছেন দাবি করেছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান জোরপূর্বক মাদক ব্যবসা করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন বলে উল্লেখ করেন। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দিনে-রাতে অপরিচিত ব্যাক্তি বাড়িতে গিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাসহ প্রশাসনের নিকট জানমালের নিরাপত্তা চেয়েছেন।