সাবেক স্ত্রীর সাথে দেখা করতে এসে গণধোলাই শিকার জীবননগর উপজেলার দত্তনগরের আনারুল
ডিভোস দেওয়ার পর সাবেক স্ত্রীর সাথে দেখা করতে এসে গণধোলাই শিকার হয়েছে জীবননগর উপজেলার দত্তনগর গ্রামের যুবক আনারুল ইসলাম। ২৬ জুন সোমবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার গোপালনগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে তাকে পুলিশে তুলে দেয় গ্রামবাসী।
গণধোলাই শিকার যুবক আনারুল ইসলাম (৩৮) চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার কয়া ইউনিয়নের দত্তনগর গ্রামের খলিল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত ১০ বছর আগে দত্তনগর গ্রামের আনারুলের সাথে কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর থানার খেজুরতলা ভেদামারী গ্রামের মৃত সাইদুল ইসলামের মেয়ে পিঞ্জিরার বিয়ে হয়। তাদের সুখের দাম্পত্যজীবন ১০ বছর অতিক্রম করে। বৈবাহিক জিবনে বাচ্চা না হওয়ায় দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। গত ১ বছর পূর্বে দুজনের বিচ্ছেদও হয়। গত ৭ মাস পূর্বে পিঞ্জিরা খাতুনের সাথে আলমডাঙ্গার গোপালনগর গ্রামের আলিমের সাথে বিবাহ হয়। ইতোমধ্যে গত ২ মাস পূর্বে পিঞ্জিরা পূর্বের স্বামী আনারুল দামুড়হুদা থানা এলাকায় বিয়ে করে। তবে আনারুলের সাবেক স্ত্রী পিঞ্জিরা অন্তঃসত্ত¡া হবার খবর শুনে ছুটে আসে গোপালনগরে।
সাবেক স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ না পেয়ে প্রায় গত ৪/৫ দিন দিন-রাতে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় পিঞ্জিরার বর্তমান স্বামীর নেতৃত্বে স্থানীয় যুবকেরা তাকে গণধোলাই দেয়। পরবর্তীতে গোপালনগর গ্রামের ঈদগাহ'র ঘরে আটকে রাখে।
খবর পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের এসআই ইউসুফ আলি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেয়।
এবিষয় গোপালনগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম জানান, সকাল ১১ টার দিকে অচেনা মানুষ আলিমের বাড়িতে উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে। এলাকাবাসী সন্দেহ হয়। তাকে জিজ্ঞাবাদে সে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্ঠা করে। স্থানীয়রা তাকে ধরে গণধোলাই শেষে পুলিশে তুলে দেয় গ্রামবাসী।
পিঞ্জিরার বর্তমান স্বামী আলিম জানান, এনজিও কর্মী পরিচয়ে সে এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। সোমবার সকালে সে আমার বাড়িতে উঁকিঝুঁকি মারে। এলাকার লোকজন তাকে আটকে মারপিট করে।
মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের এসআই ইউসুব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদী পাঠানো হয়েছে।