আলমডাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের চাপায় নির্মাণ শ্রমিক নিহতের ঘটনা মাত্র দেড় লাখে মীমাংসা
শেষ পর্যন্ত মাত্র দেড় লাখ টাকায় রফা হলো আলমডাঙ্গায় ট্রাকের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিক টুকুর নিহত হওয়ার ঘটনা। গতকাল সন্ধ্যার পর ট্রাক মালিক ও নিহত টুকুর পক্ষের মধ্যে এ সংক্রান্ত সালিশে ট্রাক চাপায় শ্রমিক নিহতের ঘটনা দেড় লাখ টাকায় মীমাংসা করা হয়। এ মীমাংসায় শহরে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে - নির্মাণ শ্রমিক টুকুর জীবনের দাম মাত্র দেড় লাখ টাকা?।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা পৌরসভার নওদাবন্ডবিল কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর মেরামতের কাজ করছিলো নিহত টুকু। তিনি রাজমিস্ত্রির যোগাল (সহযোগী) হিসেবে কাজ করছিলেন। ওই সময় হক ফিলিং স্টেশন থেকে তেল নিয়ে ফিরছিলো (চুয়াডাঙ্গা-ট-১১-০৭০৮) ট্রাকটি। এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক প্রাচীর নির্মাণ শ্রমিককে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুত্বর আহত হয় নির্মাণ শ্রমিক টুকু। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নির্মাণ শ্রমিক টুকু (৬৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন হেলপার চুয়াডাঙ্গার নিয়ার বেলগাছির আব্দুল খালেকের ছেলে সাইফুল ইসলাম। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ দুর্ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক ও হেলপারকে আটক করেছে।
অন্যদিকে, মাত্র দেড় লাখ টাকায় এ ঘটনা মীমাংসা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর ট্রাক মালিক চুয়াডাঙ্গার বশির আহমেদ রাজুর সাথে নিহত টুকুর ভাই বজলু, কুমারী ইউপির সদস্য আব্দুর রশীদের উপস্থিতিতে দেড় লাখ টাকায় মীমাংসা করা হয়। আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক মোটর মালিক সমিতির সেক্রেটারি সেকেন্দার আলী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।