শিক্ষার্থী কর্তৃক কম্পিউটার অপারেটরকে লাঞ্চিতের ঘটনায় কলেজে পরীক্ষা বন্ধ
শিক্ষার্থী কর্তৃক আলমডাঙ্গার নিগার সিদ্দিকী কলেজের কম্পিউটার অপারেটর লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় কলেজের চলমান পরীক্ষা বয়কট করা হয়েছে। ৮ জুন অধ্যক্ষ ও লাঞ্চিত শিক্ষকসহ কলেজটির এক প্রতিনিধি দল অভিযুক্ত শিক্ষার্থিদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট উপস্থিত হন।
লাঞ্চিত শিক্ষক ( কম্পিউটার অপারেটর) আবুল হায়াত জানান, বুধবার কলেজ মাঠে ১ম বর্ষের ছাত্র হৃদয় কয়েকজন সহপাঠীসহ বসেছিল। তাদের পেছনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো আরেক গ্রুপ শিক্ষার্থী। এক পর্যায়ে পেছনের গ্রুপ থেকে কেউ একজন সামনের গ্রুপের হৃদয়ের গায়ে সিগারেট ছুড়ে মারে। হৃদয় সে সিগারেট কুড়িয়ে ভেঙ্গে দিতে উদ্যত হলে পেছনের গ্রুপ থেকে কয়েকজন হৃদয়কে ধরে নিয়ে যায় পাশের চিপায়। সে সময় কিছু ছাত্রী দৌড়ে গিয়ে কম্পিউটার অপারেটর আবুল হায়াতকে ঘটনা বলেন। আবুল হায়াত ছুটে গিয়ে তাদেরকে বকাঝকা করলে বিএম শাখার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমরানসহ কিছু শিক্ষার্থী তাকে ( আবুল হায়াত) শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ স্থগিত করেছেন শিক্ষকরা।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নিগার সিদ্দিকী কলেজের বিএম শাখার শিক্ষক আশাদুল হক বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থিদের একটা চক্র আছে। ইতোপূর্বে তারা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আরও ঘটিয়েছে।
অধ্যক্ষসহ কলেজের শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট যান।
অধ্যক্ষ আবু নাসিরের সাথে যোগাযোগের জন্য তাকে মোবাইলফোনে রিং দিলে সেট পাওয়া গেছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর জানান, "অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা এসেছিলেন। এটা গর্হিত ও লজ্জাজনক ঘটনা। তাদেরকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।