আলমডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে দুই আইসক্রীম ফ্যাক্টারিতে জরিমানা
আলমডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে দুই আইসক্রীম ফ্যাক্টারিতে জরিমানা করেছে। লাইসেন্স না থাকা, নকল মোড়ক ব্যবহার, মেয়াদ না থাকা ও নোংড়া পরিবেশ আইসক্রীম তৈরীর অপরাধে দুই ফ্যাক্টারির মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ৭ জুন বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা জামজামি সড়কের হাউসপুর এলাকায় শাপলা সুপার আইসক্রিম, মুছা সুপার আইসক্রীম ও ফুয়াদ সুপার আইসক্রীম নামক তিন ফ্যাক্টারি রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন আইসক্রীম তৈরী করে নামি দামি ব্রান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে বাজারে বিক্রয় করে। এসব আইসক্রীমে উৎপাদনের কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণের কোন তারিখ নেই। ৭ জুন চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ আলমডাঙ্গা ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় তিনি আলমডাঙ্গা পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও আলমডাঙ্গা থানা এসআই মাহদুলসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হয় আইসক্রীম ফ্যাক্টারিতে। প্রথমে শাপলা সুপার আইসক্রীম ফ্যাক্টারিতে গিয়ে দেখতে পান নোংড়া পরিবেশে আইসক্রীম তৈরী করছে। নামি দামি ব্রান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে তা বাজারজাতও করছে। সে সব মোড়কে নেই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। এসব অপরাধের শাপলা সুপার আইসক্রীম ফ্যাক্টারির মালিক মিরাজ আলীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩ দিনের জন্য ফ্যাক্টারি বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর মুছা সুপার আইসক্রীম ফ্যাক্টারিতে অভিযান চালিয়ে মোড়কে নেই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে ফুয়াদ আইসক্রীম ফ্যাক্টারিতে গিয়ে দেখা যায় তালা মেরে পালিয়ে গেছে।