আলমডাঙ্গায় বন্ধ ঘর থেকে দিপু চৌধুরী নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার
আলমডাঙ্গায় বন্ধ ঘর থেকে দিপু চৌধুরী নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার সময় আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বাবুপাড়া থেকে গ্রিলের তালা ভেঙ্গে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মীর রাশেদ চৌধুরী দিপু (৪৮) আলমডাঙ্গা শহরের বাবুপাড়ার প্রাক্তন থানা নির্বাহী অফিসার মরহুম মীর হাসানুজ্জামান চৌধুরীর এক মাত্র ছেলে।
দিপু চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলা আমবাড়িয়া ইউনিয়নের নান্দদিয়া সুতাইল। দীর্ঘ বছর ধরে তারা আলমডাঙ্গা বাবুপাড়া মসজিদের সামনে বাড়ি করে বসবাস করেন।
প্রতিবেশিরা জানান, দিপু চৌধুরী বাড়ির ২য় তলায় একাই বসবাস করতেন। স্ত্রী সন্তান নেই। বাপ-মা আগেই মারা গেছেন। চার বোন বিবাহিত। গত ৮ মাস আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। একটা কাজের মহিলা আছেন। তিনি প্রতিদিন দুপুর ১ টার দিকে এসে রান্নাসহ বাড়ির সকল কাজ করে দিয়ে যান।
দিপু চৌধুরী ঘুম থেকে একটু দেরিতে উঠে নাস্তা করে নিচে নামেন। ১ জুন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাকে নিচে নামতে না দেখে প্রতিবেশিরা বেলা ১১টা থেকে তাকে ডাকতে শুরু করেন। কোন সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখা যায় খাটের উপর পড়ে আছেন। এসময় সংবাদ দেওয়া হয় থানায়। পরে পুলিশ উপস্থিত হয়ে তালা ভেঙ্গে দেখতে পান তিনি খাটের উপর মরে পড়ে আছেন।
কাজের মহিলা জানান, তিনি প্রতিদিন দুপুরে একবার এসে রান্না করে ঘরের সকল কাজ ও জামা কাপড় পরিস্কার করে দিয়ে যান। ৩১ মে দুপুরে দিপুর জন্য তিনি ১২টি রুটি বানিয়ে দিয়ে যান। দুপুরে ও রাতে তিনি আম দিয়ে রুটি খেয়েছিলেন। সকালের জন্য যে রুটি বানিয়ে ছিলেন তা সে ভাবেই পড়েছিল।
সাবেক পৌর কাউন্সিলর আলী আজগর সাচ্চু বলেন, দিপু চৌধুরীর ৪ টি বোন। পিতা-মাতা সবাই ঢাকাতেই বসবাস করতেন। গত ৭/৮ মাস আগে দিপু চৌধুরী বাড়ি চলে আসেন। তিনি ঢাকাতে একটি ব্যাংকে চাকুরী করতেন। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত একরামুল হোসাইন বলেন, সংবাদ পেয়ে তালাবদ্ধ ঘর থেকে তালা ভেঙ্গে দিপু চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। দিপু চৌধুরীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান।