মিথ্যা অভিযোগ তুলে থানায় মামলার দায়েরের প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন ঘোষবিলার মহিন উদ্দীন
আলমডাঙ্গা ব্যুরোঃ মিথ্যা অভিযোগ তুলে থানায় মামলার করার প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোষবিলা গ্রামের মহিন উদ্দীন। ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পঠিত লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন যে, ঘোষবিলা গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান বেশ কয়েক বছর পূর্বে মালদ্বীপ যান। পরবর্তিতে একই গ্রামের মহিন উদ্দীনের ছেলে শিলনও মালদ্বীপ যান। বৈশ্বিক করোনা সঙ্কটে এক পর্যায়ে কাজ হারান মিজানুর রহমান। সে সময় মিজানুর রহমান অনুরোধ করেন শিলনকে একটা চাকরি ঠিক করে দিতে। তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে শিলন পাবনা জেলার সদর থানার টেবুমিয়া গ্রামের ইউসুফ সর্দ্দারের ছেলে সালমান রহমানের মালদ্বীপস্থ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মিজানুর রহমানকে চাকরি জোগাড় করে দেন। সেখানে চাকরির এক পর্যায়ে মিজানুর রহমান ৩ লাখ টাকা চুরি করে সটকে পড়ে। এ ঘটনায় মালিক সালমান রহমান পুলিশের সাহায্যে মিজানুর রহমানকে আটক করে। সংবাদ পেয়ে ছেলেকে মুক্ত করতে আনিসুর রহমান শিলনের বাপকে অনুরোধ করেন। চুরি যাওয়া টাকার তিনি ব্যবস্থা করে দেবেন শিলন এই প্রস্তাব ক্ষতিগ্রস্থ মালিক সালমান রহমানকে দিয়ে অনুরোধ করেন মিজানুর রহমানকে ক্ষমা করে দিতে। এক পর্যায়ে সালমান চুরি হওয়া টাকা ফেরত পাইলে মিজানুর রহমানকে ক্ষমা করে দেবেন ও মুক্তির ব্যবস্থা করতে সম্মত হন। পরে মিজানুর রহমানের বাপ জমি বিক্রি করে ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা শিলনের মাধ্যমে মালদ্বীপে সালমান রহমানকে দেওয়ার জন্য শিলনের বাপের নিকট জমা দেয়। শিলনের বাপ মহিন উদ্দীন সেই টাকা ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সালমান রহমানের ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে (৭০১৭৫১০১৩৬৫৫১) জমা দেন। এরপর পরই সালমান রহমান মিজানুর রহমানের মুক্তির ব্যবস্থা করেন।
মালদ্বীপে মিজানুর রহমান মুক্তি পাওয়ার পর পরই ভোল পাল্টায় মিজানুর রহমান ও তার বাপ। মহিন উদ্দীন ও তার ছেলে শিলন প্রতারণা করে মিজানুর রহমানের বাপের জমি বিক্রি করিয়ে দিয়ে সালমানকে পাঠানোর নামে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। আনিসুর রহমান তার ছেলে মিজানুর রহমানকে মালদ্বীপে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে তার জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ তুলে থানায় শিলন ও তার বাপের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এদিকে, উপকার করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে মহিন উদ্দীন ও তার ছেলে শিলন।
সাংবাদিক সম্মেলনে মহিন উদ্দীন তার ও ছেলে শিলনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিকার দাবি করেছেন।