আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন প্রোগ্রামে যোগদিয়ে ব্যস্ত সময় কাটালেন এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার
আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন প্রোগ্রামে যোগদিয়ে ব্যস্ত সময় কাটালেন করলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। ১৮ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তিনি উপজেলায় প্রাণিপুষ্টি উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্ত প্রকল্পের আওতায় ১০ জন উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রদর্শনী খামারীদের মাঝে নগদ অনুদান প্রদান করে। পরে তিনি উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা ও মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় যোগ দেন।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা দিচ্ছে। ইতিপূর্বে কোন সরকার দেয় নাই। আমাদের মায়েরা আজকে যখন প্রেগনেন্সি হচ্ছে তাদেরও মাতৃকালিন ভাতা দিচ্ছে। এর আগে কেউ দিয়েছে নাকি? এগুলো আপনারা মাথায় নিয়েন। কেউ তো আপনাদের দিকে তাকাই নি। শুধু বড় লোকদের দেখেছে। আজকে কৃষকরা আমাদের দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধির একটা অংশ। আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। বিশেষ করে আমাদের চুয়াডাঙ্গা জেলা একশ জনের মধ্যে ৯০ জন কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে কোন কলকারখানা নেই। কৃষি নির্ভরশীল দেশ হিসেবে আমাদের সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বুকে মাছ চাষে আমরা ৫ম। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। এটাও একটা উন্নয়নের অংশ। যিনি মুরগি পালন করছেন তিনি মাংসের চাহিদা পূরণ করছেন। আপনারা সকলেই সরকারের উন্নয়নের একটা অংশ। আপনি নিজেও নিজের পায়ে দাড়াতে পারছেন। আপনারা কেউ কৃষি দপ্তর দেখছেন, কেউ প্রাণী সম্পদ দপ্তর দেখছেন। এই দেশ যেহেতু কৃষি নির্ভরশীল, আমরা যদি কৃষির উন্নয়নের চিন্তা না করি তাহলে দেশের উন্নয়ন হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, সহকারি কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস।
অন্যান্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন. সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মোনয়েম, মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস, আশিকুজ্জামান ওল্টু, আবু সাঈদ পিন্টু, মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, তাফসীর আহমদ মল্লিক লাল, তরিকুল ইসলাম, মিনাজ উদ্দিন, এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল, হাসানুজ্জামান সরোয়ার, আলহাজ্ব শেখ আশাদুল হক মিকা, ইমদাদুল হক মুন্সি, সোহানুর রহমান সোহান, মোখলেছুর রহমান শিলন, পৌর সভার প্যানেল মেয়র খন্দকার মুজিবুল ইসলাম, কৃষি অফিসার হোসেন শহীদ সোরওয়ার্দী, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহিল কাফি, মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আখি, উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুদৌল্লা, শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন, বিআরডিবি কর্মকর্তা শায়লা শারমীন, তথ্য কর্মকর্তা সিগ্ধা দাস, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল হক, যুবলীগ নেতা সৈকত খান প্রমুখ।