ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধান কেটে দেওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: বাম্পার ফলন হলেও প্রচন্ড তাপদাহেরর কারণে শ্রমিক ও আর্থিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার অনেক কৃষক। কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন জেলায় ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারই ধারাবাহিকতায় অসময়ে কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৯এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা সদরের বুজগড়গড়ি ও গাইদঘাট গ্রামের মাঠে দুদিনে চার বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ধান কাটা কার্যক্রমে নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমদাদুল হক সজল।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বনানীপাড়ার কৃষক রেজাউল মিয়া বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে জমির ধান কাটতে পাচ্ছিলাম না। এরমধ্যে আবার কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আমি ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। পরে ছাত্রলীগের ছেলেরা খোঁজ পেয়ে, তারা নিজেরা এসেই আমার জমির ধানগুলো কেটে আমার অনেক উপকার করলো। তাদের এই কাজে ভীষণ খুশি। সার, বীজ, সেচ ও কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় জমিতে ধান ফলাতে অনেক ধারদেনা করতে হয়েছে। শ্রমিক দিয়ে ধান কাটা আমার পক্ষে এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। ছাত্রলীগের ছেলেরা এই বিপদ থেকে উদ্ধার করলো।
চুয়াডাঙ্গা সদররের বুদ্ধিমানপাড়ার কৃষক আলিহীম ফকির বলেন, আমি দুই বিঘা ধান লাগিয়েছি ও আমার এই কৃষক ভাই দুই বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছে। আমরা অর্থ সংকটে ধান কাটতে পাচ্ছিলাম না। ছাত্রলীগের সজল ভাই তার নেতাকর্মীদের নিয়ে এসে আগে আমার ধান কেটে দিয়েছে। আজ রেজাউল ভাইয়ের ধান কেটে দিলো। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। একইসাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ। কারণ তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বলেই এরা এসেছে।
ধান কাটায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের কর্মী আরফিন সজীবসহ অন্য নেতাকর্মীরা বলেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার আমরা সজল ভাইয়ের নেতৃত্বে পাকা ধান কেটে কৃষকের ঘুরে তুলে দিচ্ছি। আগামীতেও আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকবো।
ইমদাদুল হক সজল বলেন, 'আমরা সকাল থেকে এই ধান কাটা কার্যক্রম শুরু করে দুপুর পর্যন্ত দুই বিঘা জমির ধান কেটেছি। গতদিনও নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দুই বিঘা জমির ধান কেটেছি। গরীব ও অসহায় কৃষক- চাষিরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলেই তাদের ধান আমরা কেটে দেবো।'
এই ধান কাটা কার্যক্রমে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের আরফিন সজীব, সুমন, নাসিম, রাইসুল ইসলাম, ইউসুফ, লিখন, সাব্বির, তৌকি, অংকন, অনিক, আল-মামুন, রোমেল সহ আরো অনেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।