আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্ব পালন করতে শিক্ষাদের অনীহা প্রকাশ
আগামী ১ মে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষার আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ম্যানেজমেন্ট দায়িত্ব পালন করতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করার ঐতিহ্য রয়েছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের। প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান অসৎ দাবি করে বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা তার অধীনে পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন দায়িত্ব পালন করবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে কেন্দ্রটির অচলাবস্থা কাটেনি। বাধ্য হয়ে প্রধান শিক্ষক তার আস্থাভাজন মাত্র তিন শিক্ষককে দিয়েই সমস্ত দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা যায়, আগামী ১ মে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আলমডাঙ্গায় মূলকেন্দ্র দুটি আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে রেশিও অনুসারে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পরীক্ষা ম্যানেজমেন্ট বা অফিসিয়াল সকল দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বলা যায়, দীর্ঘদিন এ দায়িত্ব পালন করতে করতে তারা এ বিষয়টিতে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেছেন। তাছাড়া, কেন্দ্র হিসেবে যে বিদ্যালয় ব্যবহৃত হয়, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এই নিয়ম ও ঐতিহ্য অনুসারে এ বছরও কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান। কিন্তু, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষককে অসৎ দাবি করে তার অধীনে কোন প্রকার দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করে আসছেন। শিক্ষকদের দাবি - (অসৎ) প্রধান শিক্ষক বাদে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব নিলে শিক্ষকরা সলল দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে,কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব ছাড়তে রাজি নন প্রধান শিক্ষক।
এমন অচলাবস্থা নিরসনে বিদ্যালয়টির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের কক্ষে গতকাল ২৪ এপ্রিল বিকেলে শিক্ষকদের এক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই মিটিং-এ শিক্ষকরা তাদের অনড় সিদ্ধান্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন। মিটিং-এ উপস্থিত শিক্ষকরা এক পর্যায়ে দাবি করেন অর্থের দায়িত্ব সচিব প্রধান, শিক্ষকের অধীনে রাখা যাবে না। অন্য শিক্ষক বা কোন কর্মকর্তার অধীনে থাকবে। তাদের এ প্রস্তাব মেনে নেননি সচিব ওরফে প্রধান শিক্ষক। শেষ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক তার আস্থাভাজন তিন শিক্ষককে দিয়েই পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়ে দেন।