দুঃসহ জ্যামের বিড়ম্বনা থেকে এবার মুক্তি পাবে যাত্রীরা
সাম্প্রতিকী ডেক্স আলমডাঙ্গার জেহালার মদন বাবুর মোড় থেকে রেলগেট অবধি দুঃসহ জ্যামের বিড়ম্বনা থেকে এবার মুক্তি পেতে চলেছেন আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা সড়কে চলাচলকারি কয়েক লক্ষ মানুষ। এমনই সুসংবাদ শোনালেন স্বয়ং চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের সংসদ সদস্য জেলার বয়ঃজৈষ্ঠ শীর্ষ নেতা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। ১১ জুন আলমডাঙ্গার দলীয় অফিসে নেতাকর্মিদের সাথে মতবিনিময়কালে বেশ উৎফুল্ল চিত্তে তিনি এ কাঙ্খিত সংবাদ জানান।
এ বিষয়ে সাংসদের নেতৃত্বে তার বাড়িতে গতকাল এক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সে মতবিনিময়কালে যুগসঞ্চিত এ সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলে ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন বলে জানা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১১ জুলাই সকাল ১০টার দিকে সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী, জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রোকন, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্টি বুদ্ধিজীবী ও সাহিত্যরসিক শ্রদ্ধেয় মকবুলার রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান পুলক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি শ্যামসুন্দর আগরওয়ালা।
জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রোকন জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গার মানুষের এই বিব্রতকর সমস্যাটির সমাধান করতে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চেষ্টা করে আসছিলেন। অবশেষে সংসদ সদস্যের আন্তরিক সহযোগিতায় তা সফল হতে চলেছে। তিনি জানান, মদনবাবুর মোড় থেকে রেলগেট পর্যন্ত অসহনীয় জ্যাম হয়। চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ওই স্থানে সড়কের প্রস্থ বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। অথচ ওই স্থানে সড়কের দুপাশের জমিই শ্রদ্ধেয় মকবুলার রহমান ও শ্যামসুন্দর আগরওয়ালার। তারা উভয়েই জনগণের স্বার্থে সড়কটি প্রস্থ বৃদ্ধির ব্যাপারে মতবিনিময়কালে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। অচিরেই রেলওয়ে, রোডস এন্ড হাইওয়ে ও পল্লিবিদ্যূতের প্রতিনিধি নিয়ে সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে আরেকটি মতবিনিয়ের আয়োজন করা হবে। ওই মতবিনিময় শেষে সড়কের ওই স্থানটির প্রস্থ বৃদ্ধির কাজ শুরু করা হবে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী জানান, সড়কটির ওই স্থানে অবস্থিত রেলগেটটির প্রস্থ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। রেলওয়ের ও পল্লিবিদ্যূতের বেশ কিছু খুটি ও খাম্বা রোডের ভেতর রয়েছে। সেগুলির স্থানান্তর করতে হবে। সঃে জন্য রেলওয়ে ও পল্লিবিদ্যূতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাছাড়া রেলগেটের পরেও কয়েকটি বিল্ডিঙয়ের সামনের অংশবিশেষ সমস্যা সৃষ্টি করছে। ওই বিল্ডিঙয়ের মালিকদের সাথেও বসা হবে।