১৫০ জন গরিব মানুষকে ফুড ফর অল টীমের সাহায্য
নজরুল ইসলাম তোফা: বাংলাদেশ সহ বিদেশে যে সব মানবিক মানুষগুলো সহযোগিতা করে- “ফুড ফর অল” চ্যারিটি সংগঠনের উদ্যোগকে সফল করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও লাল সালাম। এই উদ্যোগের একজন সাহসী কর্ণধার নাট্যকার ও পরিচালক “শিমুল সরকার” বলেছেন, সবটুকু সাফল্যই তাদের যারা “অর্থ ও সাহস” দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। অসহায় মানুষদের চোখে মুখে যে তৃপ্তির হাসি ‘ফুড ফর অল’ টীম প্রত্যক্ষ করেছে সেটাই অনেক বড় পাওয়া। আমরা কাউকে ত্রাণ দিইনি। আনন্দ ভাগাভাগি করেছি মাত্র। আমরা কাউকে করুণা দেখানোর ধৃষ্টতা দেখায়নি। শুধুমাত্র ভালবেসেই হাতটা ধরেছি। সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা আরো ভাল উদ্যোগকে অর্গানাইজ করে সমাজের আলো হতে চাই।আপনারা পাশে ছিলেন, থাকবেন আশা করি।
তিনি আরো অনেক ব্যক্তিগত কৈফিয়ত তুলে ধরেছেন, তাহলো- যদি কেউ মনে করে থাকেন আমি “গরু খাসি” কেটে মানুষকে খাওয়াচ্ছি, যদি এরূপ ভাবনা আপনার মস্তিস্ক বিগড়ে দেয়, তাহলে সেখানেই আমার কৈফিয়ত দেয়ার অনেক কিছু আছে। এমন ইভেন্টের আমি প্রধান সংগঠক মাত্র। ‘শ্রম ও মেধা’ আমার লগ্নি এখানে। দেশে ও দেশের বাইরে বহু কাছের মানুষকে সমন্বয় করে- এই মানবিক কাজটির নেতৃত্ব দিয়েছি মাত্র। আর এ কাজটি করেছি শতভাগ আত্মীয়তা মুক্ত ভাবনায়।
তিনি পরিস্কার ভাষায় বলেন, সত্যিকার অর্থে যারা এক কেজি মাংস হাতে পেলে আনন্দে চোখের পানি ঝরাবে- তাদের বাড়ি বাড়ি পৌছে দেয়া হয়েছে। কেন করেছেন? তা জানতে চাইলে বলেন, কারন হলো কষ্ট, খুবই খারাপ সময় ও ক্ষুধাকে আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি। সেসব সময়ে মানুষের খারাপ যাওয়া সময়ে ৯৯% মানুষই হাসা হাসি করে কিংবা বাজে ব্যবহার করে। মমতা মাখা মনে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেসও করে না কেমন আছো? বন্ধু আত্মীয় এমনকি বাবা মা ও পর হয়ে যায়।
তিনি এমনও কথা বললেন, সব চাইতে মজার ব্যাপারটা হলো যে, সব বন্ধু ভাল সময়ে তার পকেট উজাড় করেই হৈ-হুল্লোড় করেছে তাদের আচরণও শকুণের মতো হয়ে যায়। কিন্তু ‘মানুষ ক্ষুধা আর খারাপ সময়ের যন্ত্রণা সহ্য’ করতে পারে না। এ গুলো আমি জানি বুঝি বলেই এমন একটি কাজের নেতৃত্ব দিয়েছি অনেক বছরের থিয়েটার লিডারশিপের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে।