যৌতুক না পেয়ে ৩ সন্তানের মাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করার অভিযোগ
যৌতুক না পেয়ে ৩ সন্তানের মাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গার প্রাগপুর গ্রামের পাষন্ড স্বামী আশাদুল মন্ডলের বিরুদ্ধে। ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ নিজ ঘর থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে। ভোর থেকে স্বামী পলাতক।
এলাকাসূত্রে জানা যায়, প্রাগপুর গ্রামের আশাদুল মন্ডল প্রায় ১৬ বছর পূর্বে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ের রূপালী খাতুনকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে রপ্যেছে ৩ সন্তান। বড় সন্তান নানা-নানির সাথে অবস্থান করে। দুই সন্তান থেকে মা-বাপের কাছে।
১৩ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে পুলিশকে জানানো হয় যে, ৩ সন্তানের মা রূপালী খাতুন আত্মহত্যা করেছেন। দুপুরে আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। গৃওহবধুর মৃত্যু রহস্যজনক মনে হওয়ায় তিনি সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে দ্রæত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান জানান, গৃহবধু রূপালী খাতুনকে তার স্বামী আশাদুল মন্ডল হত্যা করেছে – এমন দাবি প্রতিবেশি অনেকের। আশাদুল মন্ডল মাঝে মধ্যেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্মমভাবে পেটাতো বলে তারা তথ্য দিয়েছেন। তবে মৃত মহিলার গলায় দাগ ছিল।
মৃত নারীর বাপ অভিযোগ করেছেন যে তার মেয়েকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে স্বামী আশাদুল মন্ডল বাধ্য করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে ঠ্যাঙায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরবর্তিতে সেই অনুয়ায়ি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রুপালী খাতুনের বাপ রবিউল ইসলাম বলেন, বিয়ের সময় আশাদুল মন্ডলকে সাধ্যমত যৌতুকও দেওয়া হয়েছিল। তারপরও মাঝে মধ্যেই যৌতুকের দাবিতে পাষন্ড আশাদুল মন্ডল স্ত্রী রূপালী খাতুনকে বেদম পেটাতো।
এমন নির্যাতন করতো যে শুনলেও গা শিউরে উঠতো। নির্যাতন শেষে অনেক বার আশাদুল এক হাতে বিষ ও অন্য হাতে দড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো স্ত্রী রূপালী খাতুনের সামনে। বলতো – “হয় বিষ খাবি না হয় গলায় দড়ি দিয়ে মরবি।“ তিনি দাবি করেন, রূপালী খাতুনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে তার পাষন্ড স্বামী আশাদুল মন্ডল।