আলমডাঙ্গা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবীতে ছাত্রদের বিক্ষোভ ও মানবন্ধন
আলমডাঙ্গা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানকে অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিদ্যালয় গেটে রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন শুরু করে। পরে তারা বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে বিক্ষোভ শুরু করে। বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাবে ক্লাস না নেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে ৬ আগস্ট শনিবার বেলা ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিক্ষুদ্ধ ছাত্রদের সাথে বসে বিষয়টি সুরাহা করবেন জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি ঘোষণার পর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দেওয়ার নাম করে সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা সংগ্রহ । তবে, সরকারিকরণে কোন দপ্তরে টাকা লাগেনি। সরকারিকরণে সম্পৃক্ত আলমডাঙ্গার সন্তান এক সচিব এ বিষয়টি জানিয়ে দিলে স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত ৩০ জুলাই শনিবার শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের নিকট টাকা ফেরৎ পেতে চড়াও হন। পরবর্তীতে ৩ লক্ষ টাকা ফেরৎ দিয়ে মীমাংসা করা হয়।
এদিকে, অভিযোগ ওঠে করোনাকালীন দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ও পরীক্ষা বাবদ প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা কালেকশন করেন প্রধান শিক্ষক। এসব টাকা তিনি তসরুপ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। একই সাথে প্রতি মাসে স্কুলের দোকান ভাড়া ৩৭ হাজার টাকারও কোন হদিস নেই বলে সে সময় জানান শিক্ষকরা। শিক্ষকরা এসব টাকারও হিসাব চান। তবে শিক্ষকদের উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী করেন প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান।
এদিকে অর্থ আত্মসাৎ এর পাশাপাশি স্কুলের কম্পিউটার ল্যাবে টাকা নিলেও ক্লাস না নেওয়া, টয়লেট অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন, ক্লাস না হওয়া ও নিম্নমানের সিট বেঞ্চসহ নানা অভিযোগ তুলে শনিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। সংবাদ পেয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার তোমাদের সাথে বসে বিষয়টি সুরাহা করবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সহসভাপতি ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন, আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন একরামুল হোসাইন, কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আলম হোসাইন বাদশা। পরে ছাত্ররা তাদের আন্দোলন আপাতত স্থগিত করে।