২৪ ঘন্টায় চোরসহ মোটরসাইকেল উদ্ধার: প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ
আলমডাঙ্গারর গার্মেন্টস পট্রি থেকে খোয়া যাওয়া মোটর সাইকেল ২৪ ঘন্টায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মিরপুর উপজেলার ইশেলমারী গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পড়া আফজাল হোসেনকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তিতে মোটর সাইকেলটি উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানায়, আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের সবুজ আলী ২৫ এপ্রিল রাতে আলমডাঙ্গা বাজারের লিমা বস্ত্রালয়ের সামনে চাবিসহ রেখে কেনাকাটা কিরতে যায়। সে সময় ঘাপটি মেরে থাকা চোর মোটরসাইকেলটি নিয়ে চম্পট দেওয়ার পর পরই পুলিশ বিভিন্ন সিসি টিভি ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শনাক্ত করা হয় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চক হারদী গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আফজালকে। তাকে ধরতে পুলিশ ফাঁদ পাতে। সন্ধ্যায় থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন একরামুল হোসাইনের নেতৃত্বে এসআই আমিনুল, এসআই সুফল ও এএসআই হামিদুলসহ একদল ফোর্স আলমডাঙ্গার লাল ব্রীজের নিকট অবস্থান নেয়। এদিকে মোটর সাইকেল চোর আফজাল লাল ব্রীজের নিকট আসলে পুলিশ তাকে আটক করে। আটকের পর সে মোটর সাইকেলের সন্ধান দিলে পুলিশ রাতেই ইশেলমারী গ্রামে থেকে মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক মোটর সাইকেল চোর আফজাল পুলিশকে জানায়, সে প্রায় আলমডাঙ্গায় পশুহাট এলাকার চানের দোকানে কেরাম খেলতে আসতো। সোমবারও সে কেরাম খেলার পর গার্মেন্টস পট্রিতে আসে। লিমা বস্ত্রালয়ের সামনে চাবিসহ মোটর সাইকেল অনেকক্ষণ পড়ে থাকতে দেখে লোভ সামলাতে পারেনি। সে মোটর সাইকেলটি নিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়। প্রথমে সে গোবিন্দপুর এলাকার এক আম বাগানে যায়। সেখানে বাগানের ভেতর মোটরসাইকেল শুইয়ে রেখে ওই এলাকার পরিচিত মাদকব্যবসায়ীর নিকট থেকে ট্যাপেন্টস ক্রয় করে। পরে রাতেই মিরপুর উপজেলার ইশেলমারী এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে ওঠে। সেখানে এক আম বাগানে মোটর সাইকেল রেখে রাতে সেখানে অবস্থান করে । এরই এক পর্যায়ে সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
প্রসঙ্গত,আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের হজরত আলীর ছেলে সবুজ আলী সোমবার সন্ধ্যায় শিশুকন্যাকে নিয়ে ঈদের পোষাক কিনতে পালসার মোটরসাইকেলে আলমডাঙ্গা বাজারে আসে। গার্মেন্টস পট্টির লিমা গার্মেন্টসের সামনে মোটরসাইকেল রেখে তালা না আটকেই গাড়ির সাথে চাবি রেখে তড়িঘড়ি করে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। সাথে সাথেই ঘাপটি মেরে থাকা চোর চক্র মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পড়ে। স্থানীয়রা পেছন থেকে দৌঁড়ে গিয়েও ধরতে তাকে পারেনি। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে চোর সনাক্তের চেস্টা করছিলেন। এরই পর্যায়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে।
এদিকে, আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশরাফুল হক বাবু এ চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারে নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সার্বিক সহযোগিতা করেছেন থানা পুলিশকে। মোটরসাইকেল মালিক কাউন্সিলর বাবুর ভাগ্নে। সে কারণে তিনি নিজেও মোটরসাইকেল উদ্ধারে মাঠে নেমেছিলেন বলে জানা যায়।
মোটরসাইকেল চুরির মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে চোরসহ মোটরসাইকেল উদ্ধারের ঘটনায় প্রাশংসায় ভাসছেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।