ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ১১ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন, চরম দুর্ভোগে রোগীরা
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ গণপূর্ত বিভাগের অবহেলায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ১১ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল। এতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বিঘি্নত হয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশীদ জানান, শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে হঠাৎ করে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে হাসপাতালটি। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরণের জরুরি সেবার যন্ত্রপাতি। চরম ভাবে বিঘœ হয় সব ধরনের সেবা কার্যক্রম। করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের মুমূর্ষু রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। শতাধিক আবাসিক রোগী অন্ধকারে দিশেহারা হয়ে পড়েন। রাত ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন থাকে হাসপাতাল। তিনি আরও জানান বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে প্রথমে স্থানীয় অজোপাডিকোর (ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি) নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়। হাসপাতালের দায়িত্ব গণপূর্ত বিভাগের। সে কারণে অপারগতা প্রকাশ করে অজোপাডিকো। পরবর্তীতে গণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানানো হয়। এ বিষয়ে ওই উপ-সহকারী প্রকৌশলী(ইলেকট্রিক) মহসিন আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হাসপাতাল বাউন্ডারিতে বিদ্যুৎ লাইনের ওপর গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে যায়। এতে করে হাসপাতালের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তরিকুল ইসলাম নামের জনৈক ঠিকাদারকে লাইন মেরামত করতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ পর্যায়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। প্রকৃত খবর জানতে যোগাযোগ করা হয় ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মো. ফারুক হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, বিষয়টি জানা নেই তার। ঘটনা জানতে ইলেকট্রিক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। পরে ঝিনাইদহ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক) এরশাদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলী মহসীন আলীকে লাইনটি মেরামত করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত বুধবার নবাগত নির্বাহী প্রকৌশলী পদে মো. মনিরুজ্জামান যোগদান করেছেন। যোগদানের পর ঢাকা চলে গেছেন তিনি। ছুটি নিয়ে গেছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এরশাদুল ইসলাম। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্টেশনেই নেই উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক) মহসিন আলী। কুষ্টিয়াতে অবস্থান করে লাইন মেরামতের কাজ করাচ্ছেন তিনি। আরেক দফায় ফোনে যোগাযোগ করা হলে কুষ্টিয়াতে অবস্থান করার খবরের সত্যতা স্বীকার করেন তিনি। পরে সদর হাসপাতাল বিদ্যুৎহীনের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে গণপূর্ত বিভাগের টনক নড়ে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হয়েছে বলে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক জানান।