আলমডাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু পানিবন্দী পরিবার

পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন আলমডাঙ্গার ওয়াপদা কলোনি চত্বরে বসবাসকারি ১০/১৫ পরিবারসহ পৌরসভাধীন স্টেশনপাড়া, গোবিন্দপুর মাঠপাড়া ও এক্সচেঞ্জপাড়ার মানুষ। গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে পৌরবাসির এমন দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আলমডাঙ্গা পৌরসভা এলাকায় পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় এ জনদুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
জানা যায়, দেশের অনেক অঞ্চলেই বন্যা সমস্যা দেখা দিলেও আলমডাঙ্গাসহ বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও ঝিনাদহ জেলার মানুষের নিকট বন্যা সমস্যা অজানা। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে আলমডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার ওয়াবদা চত্বর, স্টেশনপ[ড়া, গোবিন্দপুর মাঠপাড়া ও এক্সচেঞ্জপাড়ায় বহু বাড়িতে পানি ঢুকেছে। অনেকের বসতঘরের ভেতর হাঁটুপানি। বেশ কয়েকদিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবারগুলি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আলমডাঙ্গা ওয়াবদা চত্ত্বরে বসবাসকারি দিনমজুর স্বপন আলী ও আলম হোসেন। তাদের ঘরের মেঝেতে হাঁটুপানি। তারা জানান, গত কয়েক দিন নিজ বাড়িতে রান্না করা করা সম্ভব হয় নি। পরিচিতদের বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে আনা হচ্ছে। ঘরের চৌকি উঁচু করে নিয়ে রাতে চৌকির উপর অবস্থান করলেও ঘুমাতে পারছেন না সাপের ভয়ে।
একই এলাকার বিধবা নূর জাহান জানান, বাড়িঘরে পানি থৈ থৈ করছে। খড়িও ভেজা ছিল তাই গত কয়েক দিন বাড়িতে রান্না করা সম্ভব হয়নি। পরের বাড়ি চেয়েচিন্তে চলেছে। আজই প্রথম ঘরের দাওয়ায় ইট সাজিয়ে উঁচু করে চুলা তৈরি করেছেন।
একই অবস্থা দিনমজুর আশাদুল হক, মহাবুল হক, আল্লাদী খাতুন, আরজিনা খাতুন ও নূরী খাতুনের। বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা পানিবন্দী। ঘরের ভেতরে হাঁটুজল। সন্তান-সন্ততি নিয়ে তাদের কষ্টের সীমা নেই বলে জানান। আলমডাঙ্গা পৌরসভা এলাকায় পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় এ জনদুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
তবে, গতকাল থেকে পানি নিষ্কাশনের পথে প্রতিবন্ধকতাগুলি অপসারণের কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।