ফেসবুকের পরিচয়ে প্রেম : কিশোরগঞ্জের মেয়ে আলমডাঙ্গায়
ফেসবুকের পরিচয়ে প্রেম করে কিশোরগঞ্জ থেকে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ছামিয়া আলমডাঙ্গায়। আলমডাঙ্গায় নেমে প্রেমিকের দেখা না পেয়ে মাথায় হাত উপায় না পেয়ে আশ্রয় নেয় থানায় । আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীরের নির্দেশে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করে ছামিয়াকে তার বাবার হাতে তুলে দিলেন এসআই সুব্রত বিশ্বাস।
জানাগেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার কালিকা প্রসাদ ইউনিয়নের মিরারচর গ্রামের কৃষক বাহা উদ্দিনের স্কুল পড়–য়া মেয়ে ছামিয়া খাতুন(১৫) বড় বোনের মোবাইল নিয়ে ফেসবুকে আলমডাঙ্গার মাহফুজ্জামান নামের একটি ফেসবুক আইডির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
তারপর তারা মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান করে কথাবার্তা বলতে থাকে। এরই একপর্যায়ে গত শনিবার ২৫ জুলাই ছামিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে আসে। বাড়ি থেকে প্রথমে উত্তরা আব্দুল্লাহপুর। সেখান থেকে মামুন এন্টারপ্রাইজে টিকিট কেটে চুয়াাডাঙ্গা আসে। চুয়াডাঙ্গা থেকে ইজিবাইক যোগে আলমডাঙ্গা ষ্টেশন মন্দিরের নিকট নামে। সেখানে নামার পর আর ওই ছেলের খোজ না পেয়ে আলমডাঙ্গা থানায় আশ্রায় নেয়।
পরে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সমস্ত ঘটনা শুনে এসআই সুব্রত বিশ্বাসকে মেয়েটার পরিবারের খোঁজ করার দায়িত্ব প্রদান করেন। মেয়েটা তার ঠিকানা ছাড়া আর কোন তথ্য দিতে পারছিল না। আলমডাঙ্গা থানার এসআই সুব্রত কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় যোগযোগ করে মেয়েটার বাবার সাথে কথা বলে। ৩দিন আলমডাঙ্গা থানায় থাকার পর গতকাল ২৮ জুলাই সকালে মেয়েটার বাবা এসে তাকে নিয়ে যায়। তবে মেয়েটার কাছে কোন মোবাইল না থাকায় ছেলেটার সন্ধান পাওয়া যায়নি।