গ্রামবাসীর ব্যাতিক্রম ঈদ উদযাপন বিলুপ্ত প্রায় গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন
সাইদুর রহমান, সিংড়া(নাটোর)প্রতিনিধি,
একটা সময় ছিলো যখন মানুষ অবসর সময় কাটাতো নানা রকম মজার খেলায় মেতে। সময়ের পরিবর্তনে আজ বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার প্রাচীন খেলাুগুলো, হারাতে বসেছে তার ঐতিহ্য। ক্রিকেট ফুটবলের ছোয়ায় যখন সবাই মুখরিত তখন প্রযুক্তির উন্নয়নে অনলাইন গেইমস গুলো প্রকাশ পেয়ে যেনো হারিয়ে দিচ্ছে সকল খেলাধুলার আগ্রহ। ঈদেও নেই আগের আনন্দ যুব সমাজ এখন মোবাইল মুখি মাঠের খেলার কোনো আগ্রহ দেখাই যায়না বললেই চলে। সিংড়া উপজেলার মহিষমারী মৃধাপারা গ্রামে ঈদের আয়োজন হয় এক ভিন্ন আঙ্গিকে। নানারকম গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহি ও প্রচলিত খেলুধার আয়োজন করেন এন্তাজ আলী মৃধা নামক এক সামাজিক ব্যাক্তিত্ব ও রাজনীতিবীদ।
মোড়গ লড়াই, চেয়ার সিটিং,পুতুল কোল, বিস্কুট দৌড়, ব্যাঙ দৌড়, হাড়িভাঙ্গা,দড়ি ঘুরানো সহ নানা ঐতিহ্যবাহি ও প্রচলিত খেলায় গ্রামের নারী,পুরুষ,শিশু সহ সকল মানুষ মেতে উঠে খেলার আনন্দে। ঈদেরদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত পর্যন্ত চলে এসকল খেলাধুলা। দুর্বার সংঘ নামক সংগঠনের সভাপতি ইমরান মৃধা পিকুলের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা খেলাধুলা পরিচালনা করে। আয়োজক এন্তাজ আলী মৃধা বলেন, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি গত একবছরের বেশি সময় ধরে করোনার কারনে স্কুল কলেজ বন্ধ, সকল খেলাধুলা প্রায় বন্ধ।মানুষের মনের আনন্দ কমে যাচ্ছে দিন দিন তাই ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে ও প্রাচীন বিলুপ্তপ্রায় খেলাগুলোর ঐতিহ্য ধরে রাখতেই আমাদের এ আয়োজন।
ইমরান মৃধা পিকুল বলেন, আমার দুর্বার সংঘের সদস্যদের নিয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা কাজে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছি বিভিন্ন সময়ে। আমরা চাই এমন খেলাধুলার আয়োজন নিয়মিত ভাবে করতে যেনো নতুন প্রজন্ম হারানো খেলাগুলো জানতে পারে, বুঝতে পারে আমাদের বাঙ্গালিদের ও একটা সুন্দর খেলাধুলার জগৎ রয়েছে যা দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আমাদের এগুলোর ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। খেলাধুলায় অংশগ্রহনকারী ও দর্শক সকলেই ছিলো আনন্দ মুখর। গ্রামবাসি এমন আয়োজন প্রতিবছর করার বাদি জানালে আয়োজক এন্তাজ আলী মৃধা আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন। খেলার শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।