ইদে বন্ধ থাকতে পারে বিনোদন পার্ক
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে ৪৫ কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিনোদন পার্ক সংশ্লিষ্টরা। এতে কাজ হারানোর ঝুঁকিতেও আছে কয়েক হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দুটি ইদ মূলত তাঁদের আয়ের মূল সময়। করোনার কারণে রোজার ইদে পার্কগুলো বন্ধ ছিল। কিছু দিন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু চালু হলেও ইদ উপলক্ষে বিনোদন পার্কগুলো খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ধুকছেন পার্ক মালিকরা। কোরবানির ইদেও যদি পার্কগুলো বন্ধ থাকে তাহলে অনেক লোকসানের মুখে পড়বে এই খাত। তাই প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখতে পর্যটন ও বিনোদন পার্কগুলো খুলে দেওয়ার জন্য পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ও জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যামিউজমেন্ট পার্কস অ্যান্ড অ্যাট্রাকশন - বাপা।
জানা যায়, বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দুটি ইদ ও বছরের প্রথম কয়েকটা মাস বেশি জনসমাগম হয়। এই সময় শিক্ষা সফরসহ বিভিন্ন সংগঠনের আগমনে মুখরিত থাকে স্থানগুলো। তাই ব্যবসার জন্য এটিকে ভরা মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করেন এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের কারনে হুমকির মুখে পড়েছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনার কারণে গত মার্চ থেকে ফ্যান্টাসি কিংডম, শিশু মেলা, ওয়াটার কিংডম, ফয়’স লেক, সি ওয়ার্ল্ড ও ড্রিম হলিডে পার্কসহ দেশের সরকারি ও বেসরকারিসহ সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। তাই এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে কর্মীদের বেতনসহ প্রতিষ্ঠানের খরচ চালানো কঠিন হবে বলেও জানান এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা।