সৌদি প্রবাসির স্ত্রী শারমিন দুই যুবককে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ট্যাপেন্টাডল সিন্ডিকেট
![](https://samprotikee.com/wp-content/uploads/2023/02/atok-3.jpg)
সৌদি প্রবাসির স্ত্রী শারমিন দুই যুবককে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ট্যাপেন্টাডল সিন্ডিকেট। মাদকসেবিদের কাছে প্রিয় বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষিত ট্যাপেন্টাডল ব্যবসা অতিশয় লাভজনক হওয়ায় শারমিন এই অবৈধ ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। তার এই ব্যবসার দুই বাহু আজমির ও শিমুল ক্রেতাদের কাছে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে। তবে ব্যবসাপাতির মাঝপথে এসে তাদের নামে উপর শনির দশা । পুলিশ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ তিনজনকেই আটক করে। হালসা এলাকা থেকে ১শ টাকা পিস ট্যাবলেট এনে ২শ টাকায় বিক্রির কথা আজমির অকপটে স্বীকার করে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার শ্রীরামপুর গ্রামের ইমাদুলের মেয়ে শারমিনের বিয়ে হয় হালসার সৌদি প্রবাসি রফিকুল ইসলামের সাথে। শারমিন বাবার বাড়ি শ্রীরামপুর গ্রামে বসবাস করেন। এ পর্যায়ে একই গ্রামের বাবুলের ছেলে আজমির অধিক লাভের লোভ দেখিয়ে শারমিনকে ট্যাপেন্টাডল ব্যবসার প্রলোভন দেখায়। শারমীন এ ব্যবসায় রাজি হন। তিনি টাকাও বিনিয়োগ করেন।
কেনা-বেচার দাযিত্ব নেয় আজমির ও তার বন্ধু পাঁচলিয়া পুরাতন বাজার এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে শিমুল। তারা হালসা ও পোড়াদহ এলাকা থেকে ট্যাবলেট কিনে এনে ডাবল দামে বিক্রি করে আসছিল। লাভও হচ্ছিল ভাল। কিন্ত হুট করেই তাদের ওপর শনির দশা নেমে আসে। বুধবার রাতে পুলিশ এই সিন্ডিকেটের খোঁজ পেয়ে যায়।
বুধবার রাতে থানার এসআই রাশিদুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে শ্রীরামপুর গ্রামে উপস্থিত হন। এ সময় গ্রামের বাবুর দোকানের সামনে সিন্ডিকেটের এই তিন সদস্য আগন্তক কোন কাস্টমারের অপেক্ষা করছিল। ঠিক তখনই তাদেরকে আটক করে পুলিশ। এ সময় আজমিরের পকেট থেকে ৩০ পিস, শারমিনের কাছ থেকে ৪ পিস ও শিমুলের প্যান্টের পকেট থেকে ৫ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ।
রাতেই তিনজনকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। বিশেষ করে শারমিনকে ছাড়াতে থানায় গভীর রাত পর্যন্ত তদবির করে গ্রামের নেতারা। কিন্ত তাদেরকে হতাস করে রাতেই পুলিশ তিনজনকে আসামী করে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়। গতকালই তাদেরকে আদারতে সোপর্দ করা হয়েছে।